বিক্ষোভের জেরে বন্ধ টোল আদায়

পরিকাঠামো সম্পূর্ণ না করে টোল নেওয়া যাবে না। এই দাবিতে বুধবার সকাল থেকে দফায় দফায় গাড়ি চালকদের বিক্ষোভের পরে টোল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ (এনএইচএআই)।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাঁকসা শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০১৭ ০১:১৯
Share:

শুধুই চলছে পারাপার। নিজস্ব চিত্র

পরিকাঠামো সম্পূর্ণ না করে টোল নেওয়া যাবে না। এই দাবিতে বুধবার সকাল থেকে দফায় দফায় গাড়ি চালকদের বিক্ষোভের পরে টোল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ (এনএইচএআই)। এনএইচএআইয়ের দুর্গাপুরের প্রজেক্ট ডিরেক্টর অরিন্দম হান্ডিক জানান, বুধবার রাত থেকেই টোল নেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের বাঁশকোপায় টোলপ্লাজা চালু হয়। বুধবার সকালেই বেশ কিছু গাড়িচালক বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁদের অভিযোগ, জাতীয় সড়কের সম্প্রসারণের কাজ বহু জায়গাতে শেষ হয়নি। বেশ কিছু উড়ালপুল এখনও নির্মীয়মাণ অবস্থায় রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে টোল নেওয়া যাবে না। কাঁকসা থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। তারপরেও দফায় দফায় গাড়িচালকেরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত পুলিশের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে আইন-শৃঙ্খলাজনিত সমস্যা হতে পারে। পরে রাতে টোল নেওয়া বন্ধ করার কথা জানিয়ে দেন কর্তৃপক্ষ।

এনএইচএআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে তাঁদের বৈঠক হয়েছে। গাঁধী মোড়, ডিভিসি মোড়, ভিড়িঙ্গি মোড়ের সার্ভিস রোড তৈরির কাজ শেষ হয়নি। বাঁশকোপায় নির্মীয়মাণ সার্ভিসরোডের জন্য সমস্যায় পড়েছেন কয়েকটি পরিবার। গাঁধী মোড়ের ওভারব্রিজ চালু হয়নি। রাস্তা ও উড়ালপুলের কাজ শেষ করার পরেই টোল নেওয়া যাবে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়। এনএইচএআইয়ের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়ারও আশ্বাস দেওয়া হয়।

Advertisement

পুলিশ কমিশনার লক্ষ্মীনারায়ণ মিনা জানিয়েছেন, পরিকাঠামো ঠিক না করে টোল নেওয়ায় আইন-শৃঙ্খলার সমস্যা বেড়েছে। রাস্তা তৈরির কাজও শেষ না হওয়ায় দুর্ঘটনাও বেড়েছে। সব কাজ শেষ করেই টোল নিতে বলা হয়েছে।

এক গাড়ি চালক জগদীশ বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘‘জাতীয় সড়কের বহু জায়গায় যাতায়াতে সমস্যা রয়েছে। রাস্তা পুরো তৈরি হওয়ার পরেই টোল নেওয়া উচিত।’’ পেট্রোল পাম্পের মালিক দুর্গাপুরের বিশ্বদীপ রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘জাতীয় সড়কের বহু জায়গা মরণফাঁদ হয়ে রয়ে গিয়েছে। সে সব ঠিক না করে হঠাৎ টোল নেওয়া শুরু করাই উচিত হয়নি।’’ এনএইচএআইয়ের দুর্গাপুরের প্রজেক্ট ডিরেক্টর অরিন্দমবাবু বলেন, ‘‘গাঁধীমোড়ের উড়ালপুলের উপর দিয়ে ডিপিএলের হাইটেনশন বিদ্যুতের তার গিয়েছে। তা সরানোর জন্য বলা হয়েছে। আধিকারিকেরা বৃহস্পতিবার সব পরিদর্শন করে গিয়েছেন। আশা করি দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন