নিজস্ব চিত্র।
অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের (এএসপি) কৌশলগত বিলগ্নিকরণ রোখার দাবিতে শ্রমিক সংগঠনগুলির আর্জি মেনে বুধবার নীতি আয়োগের উপাধ্যক্ষ রাজীব কুমারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় ভারী শিল্পমন্ত্রী তথা আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। বাবুল জানান, ৪ ও ৬ সেপ্টেম্বর নীতি আয়োগের প্রতিনিধি দল দুর্গাপুরে এএসপি-র কর্মী, আধিকারিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলির সঙ্গে আলাদা ভাবে কথা বলবে।
নীতি আয়োগের প্রস্তাব পেয়ে ২০১৬ সালে কেন্দ্রের ক্যাবিনেট কমিটি অন ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্স এএসপি-র কৌশলগত বিলগ্নিকরণের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করে। এর প্রতিবাদে যৌথ ভাবে আন্দোলন শুরু করে সিটু এবং আইএনটিইউসি। পরে বিএমএস-সহ অন্য কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনগুলি যৌথমঞ্চ গড়ে আন্দোলনে নামে। আলাদা আন্দোলন চালায় আইএনটিটিইউসি।
ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি এএসপি-র বিলগ্নিকরণের জন্য ‘গ্লোবাল টেন্ডার’ ডাকে সেল। প্রতিবাদে সরব হয় নানা দল ও শ্রমিক সংগঠনগুলি। সিটু এবং আইএনটিইউসি এলাকার সাংসদ ও বিধায়কদের চিঠি দেয়। তবে সময়সীমা বাড়িয়েও দরপত্রে সাড়া পায়নি সেল। ১১ মার্চ যৌথ মঞ্চের নেতারা বাঁশকোপায় বাবুলের সঙ্গে দেখা করে কারখানা বাঁচাতে সহযোগিতার আর্জি জানান। তিনি ৬ জুন শ্রমিক নেতাদের নিয়ে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও ইস্পাত সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন। বুধবার কলকাতার ব্রিজ অ্যান্ড রুফ এবং এএসপি-র বিলগ্নিকরণ আপাতত আটকে বিকল্প কী পথ বার করা যায়, তা নিয়ে নীতি আয়োগের উপাধ্যক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে জানান বাবুল।
মন্ত্রিসভা বিলগ্নিকরণের সিদ্ধান্ত নিলে বিষয়টি বিলগ্নিকরণ দফতরের হাতে চলে যায়। সে ক্ষেত্রে নীতি আয়োগের আর তেমন কোনও ভূমিকা থাকে না। তবু দুই সংস্থার সমস্যা কী ভাবে সমাধান করা যায়, সেই পথ খুঁজে বার করার চেষ্টা হবে বলে বৈঠক সূত্রের খবর। এ বিষয়ে সম্মত হয়েছে নীতি আয়োগও। সব ক’টি শ্রমিক সংগঠনের দাবি, এই ঘটনা তাদের নৈতিক জয়। বাবুল বলেন, ‘‘আমার দ্বারা যতটা চেষ্টা করা সম্ভব, করব।’’