বিআইটি কলেজে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র।
প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস বন্ধ মাস ছয়েক ধরে, দিন পনেরো ধরে বন্ধ হয়েছে থিওরি ক্লাসও। সেই সঙ্গে কাজ বন্ধ ল্যাবরেটরিতে। গ্রন্থাগারেও বইয়ের অভাব— এই সসস্ত অভিযোগ তুলে কলেজ চত্বরে বিক্ষোভ দেখালেন কাটোয়ার বেঙ্গল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির জনা পঞ্চাশেক ছাত্র।
সোমবার ওই কলেজের অটোমোবাইল বিভাগের ছাত্ররা দাবি করেন, এক জন পূর্ণ সময়ের ও দু’জন আংশিক সময়ের শিক্ষককে দিয়েই কাজ চলছিল দীর্ঘদিন ধরে। অথচ তিন বছরের কোর্সে প্রায় শ’খানেক ছাত্র রয়েছেন। তাঁদের দাবি, মাস চারেকের পরে পরীক্ষা শুরু হবে। কিন্তু তার আগেও থিওরি বন্ধ। এমনকী, ল্যাবরেটরি ওয়ার্কশপ খোলা থাকলেও অধিকাংশ যন্ত্রপাতি অকেজো থাকায় আড়াই বছর ধরে বন্ধ প্র্যাকটিকাল ক্লাসও। এ ছাড়াও গাড়ি থাকলেও চালানো শেখানো হয় না বল দাবি পড়ুয়া সুজয় মান্না, প্রকাশকুমার ঝাদের। মঙ্গলবার থেকে কলেজের অন্তবর্তী পরীক্ষা শুরুর কথা থাকলেও অটোমোবাইল বিভাগে তা বন্ধ বলেও জানা যায়। শান্তনু মণ্ডল, প্রদীপ দলুইদের অভিযোগ, ‘‘সপ্তাহ খানেক আগে পরিষেবা সংক্রান্ত সমস্যার কথা ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট কাউন্সিল অফ টেকনিকাল অ্যান্ড ভোকেশনাল এডুকেশনের ডিরেক্টর ও মন্ত্রীকে জানানো হয়। চেয়ারম্যান স্বপন দেবনাথকেও জানানো হয়েছে। তারপরেও ফল না মেলায় বিক্ষোভে নামতে বাধ্য হয়েছি আমরা।’’ তাঁদের চিন্তা, প্রতি মাসে কলেজ ও হস্টেল ফি দিতে গিয়ে বছরটাই না নষ্ট হয়!
কলেজের অধ্যক্ষ স্বপন ঘোষালের দাবি, শিক্ষকের অপ্রতুলতাতেই এমনটা ঘটছে। তিনিজানান, ২৫ জন শিক্ষকের মধ্যে মাত্র আট জন পূর্ণ সময়ের শিক্ষক রয়েছেন। আর নতুন বই ও ল্যাবরেটরির বিষয়টিও সংশ্লিষ্ট দফতরে জানানো হয়েছে। আগামী মাসের মধ্যেই সমস্যা মিটে যাবে বলেও তাঁর আশ্বাস।