মূর্তি সংস্কারের দাবি। —নিজস্ব চিত্র।
মূর্তির সামনে নোংরা। পথের ধুলো, রয়েছে তা-ও। এমনই অযত্নে পড়ে রয়েছে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের আদালত ও মহকুমা প্রশাসনিক কার্যালয়ের অদূরেই থাকা বিপ্লবী সূর্য সেনের মূর্তিটি। নাগরিকদের আর্জি, নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করে মূর্তিটিকে স্বমহিমায় ফিরিয়ে দেওয়া হোক। সেই সঙ্গে দাবি উঠেছে মূর্তি স্থানান্তরেরও।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নবীন সূর্য সেন স্মৃতি সঙ্ঘের সহযোগিতায় মূর্তিটি বসানো হয়। ১৯৮১-র ৮ ফেব্রুয়ারি স্বাধীনতা সংগ্রামী গণেশ ঘোষ মূর্তির আবরণ উন্মোচন করেন। আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের (এডিডিএ) কাছ থেকে ভাড়া নেওয়া যে ভবনটিতে আদালত ও মহকুমা প্রশাসনের কার্যালয় চলে ঠিক তার পিছনেই রয়েছে মূর্তিটি। বাসিন্দাদের অভিযোগ, মূর্তির উপরে ছাউনি না থাকায় বছরভর রোদ-বৃষ্টিতে নষ্ট হচ্ছে মূর্তির সৌন্দর্য। বাসিন্দারা জানান, মূর্তির অবস্থান এমন জায়গায়, যেখানে সবার নজর পড়ে না। মূর্তিটি কাঁটা তারের বেড়া দিয়ে একসময়ে ঘেরা ছিল। কিন্তু এখন সেই কাঁটাতারের অস্তিত্বই প্রায় নেই। তার বদলে আশপাশে গাছপালা শাখা-প্রশাখা ছড়িয়েছে। মূর্তির আশপাশে নোংরা আবর্জনা পড়ে থাকে।
ওই এলাকা দিয়ে নিত্য যাতায়াত করেন অন্বেষা দত্ত। তিনি বলেন, ‘‘মূর্তিটি দ্রুত ওই এলাকা থেকে সরিয়ে এমন জায়গায় স্থাপন করা হোক, যাতে তা সবার নজরে পড়ে। জরুরি রক্ষণাবেক্ষণও।’’ নিত্যযাত্রী অরিন্দম সাহাও বলেন, ‘‘বিপ্লবীর মূর্তিটি ঠিক ভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। মূর্তিটি সবাই দেখতে পারেন, এমন জায়গায় আনা হোক।’’ দুর্গাপুর পুরসভার ডেপুটি মেয়র অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মেয়রের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।’’