দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা

শিয়রে পরীক্ষা, হাতে বই না আসায় বিপাক

হাতে আর মাত্র দু’মাস। জোরকদমে চলছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতি। কিন্তু আসানসোল মহকুমার অধিকাংশ স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ায়াই ‘বাংলা ভাষা ও শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতির ইতিহাস’ বইটি হাতে পায়নি। শিক্ষক ও পড়ুয়াদের অভিযোগ, এর ফলে ব্যহত হচ্ছে পঠন-পাঠন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০১৭ ০০:০০
Share:

হাতে আর মাত্র দু’মাস। জোরকদমে চলছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতি। কিন্তু আসানসোল মহকুমার অধিকাংশ স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ায়াই ‘বাংলা ভাষা ও শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতির ইতিহাস’ বইটি হাতে পায়নি। শিক্ষক ও পড়ুয়াদের অভিযোগ, এর ফলে ব্যহত হচ্ছে পঠন-পাঠন।

Advertisement

শিক্ষকেরা জানান, বাংলা বিষয়টিতে ৮০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হয়। তার মধ্যে ২৩ নম্বরের প্রশ্নই আসে এই বইটি থেকে। অভিযোগ, এই বইটি সরকার তরফে স্কুলগুলিকে সরবরাহ করার কথা থাকলেও, তা প্রয়োজনের তুলনায় কম করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ২৩ নম্বর বাদ দিয়েই প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ পড়ুয়াদের একাংশের।

সমস্যা সামাল দেওয়ার চেষ্টা কী ভাবে করা হচ্ছে? ওল্ড স্টেশন উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বাংলার শিক্ষিকা দেবী মাজি জানান, একটা বই থেকে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলি পড়ুয়াদের লিখিয়ে দিতে হচ্ছে। তার জন্য বাড়তি ক্লাসও করতে হচ্ছে। আসানসোলের কন্যাপুর স্কুলের প্রবোধ মণ্ডল বলেন, ‘‘সব ছাত্র বই পায়নি। মুষ্টিমেয় যে ক’জন পেয়েছে, তাদের বই চেয়ে নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি পড়ুয়াদের পড়াচ্ছি। জানি না এতে কতটা সুবিধা হবে।’’ তবে এ ভাবে জোড়াতালি দিয়ে পড়ুয়ারা কত খানি প্রস্তুতি নিতে পারবে, তা নিয়ে সংশয়ে মহিলাকল্যাণ স্কুলের শিক্ষিকা শ্রাবণী বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

এই পরিস্থিতিতে স্কুলের সামগ্রিক ফলের উপরেও প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন শিক্ষক মহলের একাংশ। ওল্ড স্টেশনের প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ সাউয়ের অভিযোগ, ‘‘বইয়ের জন্য একাধিকবার শিক্ষা দফতরে যোগাযোগ করেও লাভ হয়নি।’’ একই অভিযোগ মহিলাকল্যাণ স্কুলের পাপড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়, কুলটি উচ্চমাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের নিবেদিতা চট্টোপাধ্যায়, কন্যাপুরের প্রধান সিক্ষক জয়দেব বিশ্বাসদেরও। সমস্যা সামাধানে দ্রুত ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছে এবিটিএ এবং পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতিও।

যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে বর্ধমান জেলা স্কুল পরিদর্শক খগেন্দ্রনাথ রায় বলেন, ‘‘আসানসোলের সহকারি জেলা স্কুল পরিদর্শকের পাঠানো হিসেব মতো বই সরবরাহ করা হয়েছে।’’ সহকারি জেলা স্কুল পরিদর্শক অজয় পালের আবার দাবি, ‘‘আমাকে কেউ সমস্যার কথা জানাননি। দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন