প্রতীকী চিত্র।
দশমীর রাতে একটি পুজোয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানকে ঘিরে ধুন্ধুমার বাধল মাধবডিহির পাষণ্ডা গ্রামে। গোলমাল থামাতে গিয়ে আক্রান্ত হল পুলিশও। এক ভিলেজ পুলিশ গুরুতর জখম হন। ইটের ঘায়ে আহত হন আরও ৫ পুলিশকর্মী। পুলিশের উপরে হামলা ও গোলমাল পাকানোর অভিযোগে ২৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে তোলা হলে ১৪ দিন জেল-হাজতে পাঠানো হয়।
এই গোলমালের পিছনে রাজনীতি রয়েছে বলে দাবি বিজেপি-র। দলের জেলা সম্পাদক বিজন মণ্ডলের অভিযোগ, ‘‘পুলিশ বাড়ি-বাড়ি হামলা চালিয়েছে। গোলমালের পিছনে যারা আছে তাদের না ধরে পুলিশ বিজেপি-র কর্মী-সমর্থকদের গ্রেফতার করেছে।’’ দলের জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দী দাবি করেন, ‘‘ওই এলাকায় বিজেপি-র শক্তি বাড়ছে। সে কারণে তৃণমূলের কথায় পুলিশ আমাদের উপরে আক্রমণ চালাচ্ছে।’’ যদিও তৃণমূলের পর্যবেক্ষক উত্তম সেনগুপ্তের প্রতিক্রিয়া, ‘‘এর মধ্যে রাজনীতি নেই। পুরোটাই গ্রামীণ অশান্তির বিষয়।’’ এ দিন অবশ্য ধৃতদের হয়ে কোনও আইনজীবী আদালতে দাঁড়াননি।
পুলিশ জানায়, একটি সর্বজনীন পুজোয় নির্ধারিত সময়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষ করে দেন আয়োজকেরা। কিন্তু দর্শকদের একাংশ অনুষ্ঠান চালিয়ে যাওয়ার দাবি জানাতে থাকেন। আয়োজকেরা তাতে রাজি না হওয়ায় এক দল দর্শক ভাঙচুর চালায়। খবর পেয়ে ভিলেজ পুলিশ দেবগোপাল গড়াই সেখানে গেলে তাঁর উপরে রড, টাঙি নিয়ে হামলা চালায় কয়েকজন। খবর পেয়ে মাধবডিহি থানার পুলিশ যায়। পুলিশের দিকে ইট ছোড়া হয়। তাতে ৫ জন পুলিশকর্মী জখম হন। তাঁদের রায়না ২ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা করানো হয়। খবর পেয়ে এসডিপিও (বর্ধমান দক্ষিণ)-র নেতৃত্বে বড় পুলিশ বাহিনী গিয়ে লাঠি চালিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়।
মাধবডিহি থানার ওসি দেবাশিস নাগ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ জানায়, ধৃতদের বাড়ি পাষন্ডা, বরপুর, গোপালপুর ও চাবুকপুরে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশের উপরে হামলা, খুনের চেষ্টা, বেআইনি জমায়েত-সহ নানা ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ লাঠি, বাঁশ, রড ও অনুষ্ঠানের আলোর সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করেছে।