ভরণপোষণের টাকা চেয়ে মানবাধিকার কমিশনে বধূ

স্বামী ছেড়ে গিয়েছেন ছ’বছর। অভিযোগ, রেখে যাননি কোনও টাকাকড়ি। এই পরিস্থিতিতে নিজের ভরণপোষণের দাবি জানিয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে দাবি জানালেন অগ্রদ্বীপের হাটতলার বাসিন্দা অনিমা সাহা নামে এক বধূ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাটোয়া শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০১৬ ০৪:২৮
Share:

স্বামী ছেড়ে গিয়েছেন ছ’বছর। অভিযোগ, রেখে যাননি কোনও টাকাকড়ি। এই পরিস্থিতিতে নিজের ভরণপোষণের দাবি জানিয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে দাবি জানালেন অগ্রদ্বীপের হাটতলার বাসিন্দা অনিমা সাহা নামে এক বধূ।

Advertisement

অনিমাদেবী জানান, তাঁর স্বামী নবেন্দু সাহা পেশায় অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ককর্মী। বধূর দাবি, ছ’বছর আগে নবেন্দুবাবু তাঁকে ছেড়ে যান। অনিমাদেবীর সম্বল বলতে ছিল তিন কাঠার একচিলতে জমি। তারও দেড় কাঠা তাঁকে না জানিয়ে স্বামী বিক্রি করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ বধূর। গত বছর ডিসেম্বরে স্ত্রীকে বাড়িছাড়া করার হুমকিও দিয়েছেন বলে নবেন্দুবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ। অনিমাদেবী জানান, এখন তাঁর স্বামী কোথায় রয়েছেন, তাও তিনি জানেন না।

এই পরিস্থিতিতে দিন গুজরান করতে উলের পোশাক তৈরি করে নবদ্বীপের বাজারে বিক্রি করতে যান তিনি। বধূর দাবি, তাতে মাস গেলে হাজার টাকার বেশি রোজগার হয় না। ঘরে চাল বাড়ন্ত হলে পড়শিদের কাছে চেয়েচিন্তে কোনও রকমে দিন গুজরান করতে হয় বলে জানান তিনি। তাঁর দাবি, বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা থাকলেও চিকিৎসা করানোর সামর্থ্যও তাঁর নেই। অনিমাদেবী জানান, ছেলেমেয়েরাও কোনও যোগাযোগ রাখে না। যদিও স্ত্রীর ‌অভিযোগ নিয়ে কোনও রকম প্রতিক্রিয়া জানাননি নবেন্দুবাবু।

Advertisement

অনিমাদেবী জানান, ভরণপোষণের টাকা চেয়ে পুলিশ, মহকুমা প্রশাসন ও মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। কিন্তু এখনও সুরাহা হয়নি। মহকুমাশাসক মৃদুল হালদারের যদিও আশ্বাস, ‘‘বিষয়টি তদন্তের জন্য কাটোয়া থানাকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উনি যাতে নিখরচায় আইনি সাহায্য পান, তার ব্যবস্থাও প্রশাসন করবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন