কাটোয়ায় ট্রাক্টর উল্টে মৃত এক, জখম চল্লিশ

সারা দিনের কাজ শেষ করে একসঙ্গেই ফিরছিলেন জনা আশি খেতমজুর। আচমকা গাছে ধাক্কা মেরে পাশের নয়ানজুলিতে গড়িয়ে পড়ে ট্রলি লাগানো ট্রাক্টরটি। রবিবার দুপুরে এসটিকেকে রোডে গড়াগাছা বাসস্ট্যান্ডের কাছে ওই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় এক জনের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাটোয়া শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০১৭ ০১:০০
Share:

স্বজনহারা: দুর্ঘটনায় মৃত মিহির দাসের শোকার্ত পরিবার। কাটোয়া হাসপাতালে। নিজস্ব চিত্র।

সারা দিনের কাজ শেষ করে একসঙ্গেই ফিরছিলেন জনা আশি খেতমজুর। আচমকা গাছে ধাক্কা মেরে পাশের নয়ানজুলিতে গড়িয়ে পড়ে ট্রলি লাগানো ট্রাক্টরটি। রবিবার দুপুরে এসটিকেকে রোডে গড়াগাছা বাসস্ট্যান্ডের কাছে ওই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় এক জনের। আহত হয়েছেন আরও চল্লিশ। সপ্তাহখানেক আগে এই রাস্তাতেই ম্যাটাডরের ধাক্কায় মোটরভ্যান উল্টে মারা গিয়েছিলেন চার জন। প্রশ্ন উঠেছিল, রাস্তায় আলো না থাকা, মোটর ভ্যানে অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই, গাড়ি জোরে চালানো নিয়ে। তার মধ্যেই আর একটি দুর্ঘটনা ফের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল রাজ্য সড়কের হাল।

Advertisement

এ দিন দুর্ঘটনার পরে অ্যাম্বুল্যান্সে খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অ্যাম্বুল্যান্স পৌঁছলে দেরি করে আসার অভিযোগে মারধর করা হয় চালককে। ভাঙা হয় গাড়িটিও। পরে গাজিপুর পঞ্চায়েতে ওই অ্যাম্বুল্যান্স চালককে আপাতত কাটোয়া হাসপাতালে ভর্তি। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ দিন পূর্বস্থলীর ছাতনিতে পেঁয়াজ চাষ করে কাটোয়া ফিরছিলেন ওই মজুরেরা। তাঁদের কারও বাড়ি গঙ্গাটিকুরি, কারও ন’হাটা, কেউ আবার কোশিগ্রাম, আজিমগঞ্জের বাসিন্দা। দুপুর আড়াইটা নাগাদ এসটিকেকে রোড ধরে গড়াগাছা বাসস্ট্যান্ড পেরোনোর পরই নিয়ন্ত্রণ হারায় ট্রাক্টরটি। সোজা রাস্তার ধারে একটি গাছে ধাক্কা মেরে পাশের নয়ানজুলিতে যাত্রীসহ গড়িয়ে পড়ে সেটি। হীরা শেখ নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা ম্যাটাডর ডেকে আহতদের হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। পা ও মাথায় গুরুতর চোট নিয়ে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় ন’হাটার বাসিন্দা মিহির দাসের (৪০)। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গুরুতর জখম ন’হাটার জয়দেব সর্দার, গঙ্গাটিকুরীর মতন দাস ও আজিমগঞ্জের বন্দনা রায়কে বর্ধমান মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে। বাকিরা কাটোয়া হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ঘটনার পরেই গাজিপুর পঞ্চায়েতের অ্যাম্বুল্যান্স চালক সুবীর সেনকে ফোন করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু দেরিতে আসেন তিনি। যদিও মারে জখম সুবীরবাবুর দাবি, অন্য রোগীকে কাটোয়া হাসপাতালে পৌঁছানোর তাড়া থাকায় পৌঁছতে দেরি হয়েছিল। আহত বেলি দাস, রীতা দাসদের দাবি, বেলাগাম ভাবে ট্রাক্টরটি চালাচ্ছিলেন চালক। তিনি মদ্যপ ছিলেন বলেও কয়েকজনের দাবি। পুলিশ জানিয়েছে, চালক পলাতক। ঘটনার তদন্ত চলছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন