হাসপাতালের পাঁচ তলা থেকে ঝাঁপ

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, নানা সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, রাত ২টো ১৫ মিনিট নাগাদ তাপসবাবু পাঁচ তলার ছাদে চলে যান এবং ঝাঁপ দেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০১৯ ০৩:৩৯
Share:

ঘটনার কথা চাউর হওয়ার পরে। আসানসোল জেলা হাসপাতালে। নিজস্ব চিত্র

এক রোগীর অপমৃত্যু হয়েছে আসানসোল জেলা হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার গভীর রাতে ওই রোগী পাঁচ তলা থেকে ঝাঁপ দেন। এই ঘটনায় মৃতের পরিবারের তরফে হাসপাতালের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।

Advertisement

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, তাপস বাউরি (৪০) নামে সালানপুরের বোলকুণ্ডার বাসিন্দা এক ব্যক্তি বৃহস্পতিবার পেটে ব্যথা নিয়ে ভর্তি হন আসানসোল জেলা হাসপাতালের মাল্টি সুপার স্পেশালিটি বিভাগে। পাঁচ তলা ভবনের দোতলায় তিনি ভর্তি ছিলেন। শনিবার রাতেও ওই রোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন চিকিৎসক। হাসপাতালের দাবি, ওই রোগীর শারীরিক অবস্থা ভাল ছিল। তাঁকে রবিবার ছেড়েও দেওয়া হতো।

কিন্তু, তার আগে শনিবার গভীর রাতে ঘটে বিপত্তি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, নানা সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, রাত ২টো ১৫ মিনিট নাগাদ তাপসবাবু পাঁচ তলার ছাদে চলে যান এবং ঝাঁপ দেন। হাসপাতালের মূল দরজায় কর্তব্যরত রক্ষী বিষয়টি দেখতে পান। আরও কয়েক জনের সহযোগিতায় ওই রক্ষী তাপসবাবুকে জরুরি বিভাগে ভর্তি করান। সেখানেই কিছুক্ষণের মধ্যে তাঁর মৃত্যু হয়।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

এই ঘটনার পরে তাপসবাবুর ভাইপো সমীর বাউরি বলেন, ‘‘রবিবারই কাকু হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেতেন। তার আগে কী ভাবে এমন ঘটনা ঘটল, সেটা অত্যন্ত সন্দেহজনক।’’ তিনি আরও জানান, পরিবারের তরফে হাসপাতালের নিরাপত্তায় গাফিলতি ছিল, এই মর্মে একটি অভিযোগপত্র হাসপাতালের সুপার নিখিলচন্দ্র দাসের কাছে জমা করেছেন। সুপার বলেন, ‘‘পরিবারের অভিযোগপত্র পেয়েছি। বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছি। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।’’ হাসপাতালের তরফেও আসানসোল দক্ষিণ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ জানায়, অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, অন্তর্বিভাগে মোট ছ’জন নিরাপত্তা রক্ষী মোতায়েন ছিলেন শনিবার রাতে। পরিবারের প্রশ্ন, ওই রক্ষীদের চোখ এড়িয়ে কী ভাবে দোতলা থেকে পাঁচ তলায় পৌঁছে গেলেন তাপসবাবু। এ বিষয়ে সুপারের দাবি, ‘‘বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, লিফট বা সাধারণ সিঁড়ি দিয়ে পাঁচ তলায় ওঠেননি ওই রোগী। হাসপাতালের পিছন দিকে আপতকালীন সিঁড়িটি ব্যবহার করেছিলেন তাপসবাবু। তাই রক্ষীদের চোখ এড়িয়ে গিয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে।’’ ময়না-তদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ-সহ কিছু বিষয় পরিষ্কার হবে বলে ধারণা পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের একাংশের। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তাপসবাবুর স্ত্রী, এক সন্তান রয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন