বিস্ফোরণে বাড়ির ক্ষতি, ক্ষোভ খনিতে

কুলটির রামনগর এলাকায় রাষ্ট্রায়ত্ত ইস্পাত সংস্থা ইস্কোর একটি কয়লা খনি আছে। মঙ্গলবার সকালে এই খনির ডুবুরডিহি সিমে কাজ চলার সময়ে স্থানীয় ৩ নম্বর ধাওড়ার এক দল বাসিন্দা অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কুলটি শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ২২:১৪
Share:

রামনগরে জমায়েত বাসিন্দাদের। মঙ্গলবার সকালে। নিজস্ব চিত্র

কয়লা কাটার জন্য খনিতে বিস্ফোরণ ঘটানোয় ঘর-বাড়িতে ফাটল ধরছে। বিপন্ন হচ্ছে জনজীবন। এই অভিযোগে মঙ্গলবার কুলটির রামনগর খনিতে অবস্থান-বিক্ষোভ করলেন এলাকার এক দল বাসিন্দা। বিক্ষোভের জেরে সারা দিন খনিতে কয়লা উত্তোলন বন্ধ ছিল। খনির আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে এসে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলেও কাজ হয়নি। পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না হলে খনি থেকে কয়লা তুলতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাসিন্দারা।

Advertisement

কুলটির রামনগর এলাকায় রাষ্ট্রায়ত্ত ইস্পাত সংস্থা ইস্কোর একটি কয়লা খনি আছে। মঙ্গলবার সকালে এই খনির ডুবুরডিহি সিমে কাজ চলার সময়ে স্থানীয় ৩ নম্বর ধাওড়ার এক দল বাসিন্দা অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করেন। এর জেরে খনির কাজ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, খনি থেকে মাত্র ৮০ মিটার দূরে রয়েছে তাঁদের পাড়া। ডুবুরডিহি সিমে কয়লা কাটার জন্য বিস্ফোরণ করলেই তাঁদের ঘড়বাড়ি কেঁপে ওঠে। দেওয়াল ও মেঝেতে চওড়া ফাটল ধরেছে। যে কোনও দিন গোটা অঞ্চল হুড়মুড়িয়ে ধসে পড়তে পারে বলে তাঁদের আশঙ্কা। বিক্ষোভকারীদের তরফে স্থানীয় বাসিন্দা তন্ময় পালের বক্তব্য, ‘‘আমরা অনেক বার খনি কর্তৃপক্ষকে নিয়মমতো পুনর্বাসন দেওয়ার অনুরোধ করেছি। কিন্তু তাঁরা আমাদের কোনও কথা কানে তুলছেন না।’’ মঙ্গলবার সকালে খনি কর্তৃপক্ষ বিস্ফোরণ ঘটানোর তোড়জোড় শুরু করতেই এক দল বাসিন্দা সেখানে এসে কাজে বাধা দেন।

সকালে খনি এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, গ্রামবাসীদের বাধায় কয়লা কাটার যন্ত্রপাতি ফেলে রেখে শ্রমিক-কর্মীরা সরে গিয়েছেন। বেশ কিছুক্ষণ পরে খনির পার্সোনেল ম্যানেজার এল কে ভরদ্বাজ-সহ কয়েকজন আধিকারিক ঘটনাস্থলে আসেন। তাঁরা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন। কিন্তু বাসিন্দারা দাবি করেন, পুনর্বাসন না পেলে তাঁরা খনি থেকে কয়লা কাটতে দেবেন না। আধিকারিকেরা ফিরে যান।

Advertisement

খনি কর্তৃপক্ষের দাবি, খনিতে বিস্ফোরণের জেরে বাড়িতে ফাটল ধরার কথা নয়। যদিও ৩ নম্বর ধাওড়ায় গিয়ে প্রায় ২৩টি পরিবারের প্রায় প্রত্যেকের বাড়ির দেওয়াল, মেঝেতেই বড় ফাটল দেখা গিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে খনি আধিকারিকেরা কেউ প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে নামপ্রকাশ না করার শর্তে এক আধিকারিক বলেন, ‘‘নিয়ম অনুযায়ী বিস্ফোরণস্থল থেকে একশো মিটারের মধ্যে কোনও বসতি থাকার কথা নয়। এ ক্ষেত্রে গ্রামটির দূরত্ব অন্তত ১৪০ মিটার। ফলে, বাসিন্দাদের বিক্ষোভ যুক্তিসঙ্গত নয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন