কারও অভিযোগ ডাকঘরে ভোগান্তি নিয়ে। কেউ বা সরব ফেরি চলাচলের পরিকাঠামো নিয়ে। শনিবার ‘কালনা কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশানে’র ২০তম বার্ষিক সম্মেলনে এমনই নানা অভিযোগ জানালেন ক্রেতা ও উপভোক্তারা।
কালনার মহারাজা উচ্চবিদ্যালয়ে আয়োজিত ওই সম্মেলনে সংগঠনের কর্তারা ছাড়াও যোগ দেন বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত মানুষ ও পড়ুয়ারা। বক্তব্য রাখেন কালনা মহকুমা হাসপাতাল সুপার কৃষ্ণচন্দ্র বরাই, প্রাক্তন পুরপ্রধান তথা চিকিৎসক গৌরাঙ্গ গোস্বামী। সম্মেলনে ক্রেতা সুরক্ষার বিষয়ে সাধারণ মানুষকে আরও সচেতন করার কথা বলেন প্রত্যেক বক্তাই।
কালনা শহরের বাসিন্দা কমলেশ ভট্টাচার্যের অভিযোগ, ডাকঘরের বেহাল পরিষেবা নিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও লাভ হয়নি। ডাঙাপাড়ার বাসিন্দা অসিতকুমার সাঁতরা শহরের চকবাজার, ভাদুরিপাড়া-সহ মোট চারটি ডাকঘরের পরিষেবা, স্থায়ী পোস্টমাস্টার না থাকার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন।
কমলেশবাবুর আরও অভিযোগ, নবদ্বীপে খেয়া পরাপারের জন্য যেখানে এক টাকা দিতে হয়, সেখানে কালনায় দিতে হয় দু’টাকা। অথচ নৌকাগুলিতে ছাউনি না থাকায় রোদ-জলে ভোগান্তি হচ্ছে যাত্রীদের।
বিভিন্ন বাসিন্দা অভিযোগ করেন, পুরসভায় ‘সাজেশন বক্স’ নেই। এ ছাড়া কালনা শহরে কেবল পরিষেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও নির্দিষ্ট ‘রেট’ নেই বলেও অভিযোগ উঠেছে। অসিতবাবুর দাবি, কোনও অপারেটর নিচ্ছেন ১৩০ টাকা। কেউ বা দু’শো টাকা।
এ ছাড়া বাজারে গিয়ে বাটখারা নবীকরণ করা রয়েছে কি না, রেশন ও দোকানে তেলমাপার যন্ত্র ঠিক রয়েছে কি না, সে বিষয়ে নজর দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় সম্মেলনে। সংস্থার তরফে, মূল রাস্তাগুলিতে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণ, অবৈধ ও ক্ষতিকারক কীটনাশক দেওয়া নানান জিনিসপত্রের বিক্রি বন্ধ, আনাজ, ফল-সহ সমস্ত প্রকার খাদ্যে ক্ষতিকারক দ্রব্য ব্যবহার বন্ধ, কালনা থেকে কলকাতা বাস চলাচল-সহ নানা দাবি জানানো হয়। সংগঠনের সভাপতি অমরপ্রতি কুমার বলেন, ‘‘চুপি, নাদনঘাট-সহ নানা এলাকায় সচেতনেতামূলক সভা করা হবে।’’