পেট্রোল পাম্পে লাইন। নিজস্ব চিত্র
সিএনজি গ্যাস সরবরাহ হচ্ছে না। ফলে, বিপাকে পড়েছে দুর্গাপুর ও আসানসোল শহরের আড়াই হাজারের বেশি অটো, গাড়ি। সমস্যায় পড়ছেন যাত্রীরাও। গ্যাস সংস্থার তরফে অবশ্য দ্রুত সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
বরাকর ও বার্নপুরের দামোদর উপত্যকায় কুয়ো খুঁড়ে কোল বেড মিথেন (সিবিএম) তুলে তা সিএনজি-তে রূপান্তর করে ট্যাঙ্কে ভরে সরবরাহ করে ওই সংস্থা। রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থার সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে পেট্রোল পাম্পে ‘ফিলিং পয়েন্ট’ খুলে সিএনজি সরবরাহ করে সংস্থাটি। দুর্গাপুরে সিটি সেন্টার এবং মেনগেট এলাকার দু’টি পেট্রোল পাম্পে এই পয়েন্ট রয়েছে। সারা দিন সেখানে অটো ও গাড়ির লাইন লেগে থাকে।
বৃহস্পতিবার থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হওয়ায় সমস্যা চরমে উঠেছে। শুক্রবার পর্যন্ত জমা গ্যাসে অনেকে কাজ চালিয়েছেন। কিন্তু শনিবার সকালে দু’টি পাম্পে গ্যাস নিতে হাজির হয় কয়েকশো অটো। লাইন পৌঁছে যায় জাতীয় সড়কে। অটো চালকদের বক্তব্য, গ্যাসের ট্যাঙ্কার এলেই গ্যাস পাওয়ার জন্য ভোর থেকে লাইন দিয়েছেন। বেলা বাড়লেও গ্যাস না আসায় কখনও নিজেদের মধ্যে, কখনও পাম্পের কর্মীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান অনেকে। তেল ভরতে এসে সমস্যায় পড়েন অন্য গাড়ি, মোটরবাইকের আরোহীরা। সিটি সেন্টারের পাম্পটির মালিক বিশ্বদীপ রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘অটো লাইনের জেরে অন্য গাড়ি ঢুকতে সমস্যা হচ্ছে। আমাদের ব্যবসা মার খাচ্ছে।’’
যাত্রীদের অভিযোগ, এ দিন শহরে বেশিরভাগ অটোই চলেনি। ফলে, যাতায়াতে সমস্যা হয়েছে। যে অটোগুলি চলছে সেগুলি অতিরিক্ত ভাড়া চেয়েছে। অটোচালকরা অবশ্য দাবি করেন, সিএনজি না থাকায় তাঁরা পেট্রোলে অটো চালাচ্ছেন। তাতে খরচ বেড়েছে। তাই বেশি ভাড়া নিতে বাধ্য হচ্ছেন।
গ্যাস সংস্থা সূত্রে জানানো হয়েছে, ট্যাঙ্কারে গ্যাস ভর্তি করার যন্ত্রে ত্রুটির জন্য সমস্যা দেখা দিয়েছে। মেরামতির কাজ চলছে। দ্রুত গ্যাস সরবরাহ শুরু করা হবে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) শঙ্খ সাঁতরা বলেন, ‘‘আসানসোল ও দুর্গাপুর মিলিয়ে প্রায় আড়াই হাজার অটো বিপাকে পড়েছে। গ্যাস সংস্থার সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা দ্রুত সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করছে।’’