PMAY

ছাউনিতে বাস করেও বাড়ি ‘অমিল’

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২০ সালে আমপানে মান্নানের বাড়ি ভেঙে পড়ে। তার পর থেকেই ঘর সারাতে পারেননি মান্নান। তৈরি করতে পারেননি নতুন বাড়ি।

Advertisement

কাজল মির্জা

গলসি শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২২ ০৮:৩৯
Share:

এই ত্রিপলের তলাতেই বাস মান্নান চৌধুরীর পরিবারের। নিজস্ব চিত্র।

ত্রিপলের ছাউনি দেওয়া ঘর। আমপান ঝড়ের পর থেকেই সেখানেই বাস গলসি ১ ব্লকের লোয়া-রামগোপালপুর পঞ্চায়েতের আটপাড়া গ্রামের মান্নান চৌধুরীর। কিন্তু আবাস যোজনা প্রকল্পে নাম ওঠেনি তাঁর। অথচ, শাসক দলের নেতানেত্রীদের পরিজনের নাম আবাস প্রকল্পের তালিকায় উঠেছে বলে অভিযোগ ওই পঞ্চায়েতে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২০ সালে আমপানে মান্নানের বাড়ি ভেঙে পড়ে। তার পর থেকেই ঘর সারাতে পারেননি মান্নান। তৈরি করতে পারেননি নতুন বাড়ি। প্রায় তিন বছর ধরে সেখানেই বাস করছেন স্ত্রী-মেয়েকে নিয়ে। মান্নানের স্ত্রী রেখা বেগম বলেন, “আগে মাটির বাড়ি ছিল। ঝড়ে সেটা ভেঙে যাওয়ায় এই ত্রিপলের ঘরে আছি।” ক্ষতিপূরণও পাননি বলে অভিযোগ তাঁদের। তিনি আশা করেছিলেন, আবাস যোজনার তালিকায় নাম নথিভুক্ত হবে। কিন্তু তা হয়নি বলে জানান তিনি।

ওই পঞ্চায়েতেই রয়েছে উল্টো চিত্র। প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রের দাবি, ২০১৬ সালে লোয়া-রামগোপালপুর পঞ্চায়েতের প্রধান পম্পা রুইদাসের শ্বশুর গোরাচাঁদ রুইদাসের নামে ‘গীতাঞ্জলি’ প্রকল্পে বাড়ি করার অর্থ বরাদ্দ হয়। অভিযোগ, এ বার পম্পার ছেলে দেবাশিসের নাম রয়েছে আবাস যোজনার তালিকায়। আটপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বদরুদ্দোজা মণ্ডল, মথুরা মোল্লাদের দাবি, “মান্নান গৃহহীন, দুঃস্থ। তাঁকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তিনিই বাড়ি পাওয়ার যোগ্য।”

Advertisement

আবাস প্রকল্পে ছেলের নাম নথিভুক্ত থাকার কথা স্বীকার করে প্রধানের বক্তব্য, “আমার শ্বশুর বাড়ি পেয়েছেন ২০১৬ সালে। সেই বাড়িতেই থাকি। বাড়িটা পুরো মেরামত করতে পারিনি। ছেলের জন্য দলের নেতারা নাম পাঠিয়েছিলেন। তাই তালিকায় নাম এসেছে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘প্রধান হয়ে তো কিছু পাইনি। ছেলে আমার সঙ্গে থাকলেও, ছেলের বাড়িটা খুব প্রয়োজন। আমি বাড়ি ফেরত দিতে চাই না।’’ একই দাবি তাঁর স্বামী স্যান্নাসীরও।

প্রধানের ছেলের নাম থাকার বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন বিডিও (গলসি ১) দেবলীনা দাস। তিনি বলেন, “তালিকা যাচাই চলছে। অনেক নাম বাদ গিয়েছে। লোয়া-রামগোপালপুর প্রধানের ছেলের নামের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।” মান্নানের নাম না থাকার বিষয়টিও তিনি যাচাই করে দেখার আশ্বাস দেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন