পিএনবি-প্রতারণায় অভিযান দুর্গাপুরেও

শুক্রবার রাতে দুর্গাপুরের ওই শো-রুমে অভিযানে আসে ইডি-র ছয় সদস্যের একটি দল। তার পরে রাত  ১১টা ৪০ মিনিট নাগাদ শো-রুমের দেওয়ালে নোটিস আটকানো হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০২:৪৮
Share:

চলছে ইডি-র অভিযান। নিজস্ব চিত্র

পিএনবি-প্রতারণা মামলায় অভিযুক্ত ধনকুবের হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদীর সংস্থার দুর্গাপুরের একটি শো-রুম ‘সিল’ করে দিল ইডি। শনিবার সিটি সেন্টারে পুরসভার একটি শপিং মলে থাকা ওই শো-রুমে দিনভর অভিযান চালানো হয়। সূত্রের খবর, এখানে অভিযান চালিয়েও বেশ কিছু অনিয়ম নজরে এসেছে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে দুর্গাপুরের ওই শো-রুমে অভিযানে আসে ইডি-র ছয় সদস্যের একটি দল। তার পরে রাত ১১টা ৪০ মিনিট নাগাদ শো-রুমের দেওয়ালে নোটিস আটকানো হয়। সেখানে জানানো হয়, কলকাতা ইডি-র তরফে শো-রুম ‘সিল’ করা হল। শো-রুম কর্তৃপক্ষ শুধুমাত্র ইডি আধিকারিকদের উপস্থিতিতে ‘শো-রুম’ খুলতে পারবেন, এ কথাও জানানো হয়।

শনিবার সকালে দোকান খুলতে এসে নোটিস দেখে অপেক্ষা করতে থাকেন ওই শো-রুমের কর্মীরা। ১১টা ১৫ মিনিট নাগাদ ইডি-র কর্তারা ওই শো-রুমে আসেন। দরজা খোলেন কর্মীরা। শো-রুমের তরফে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে বেশ কিছু কাগজপত্রে সই করিয়ে ভেতরে ঢোকে ইডি-র দলটি। বিকেল পর্যন্ত চলে তল্লাশি। কথা বলা হয় কর্তৃপক্ষ ও কর্মীদের সঙ্গেও তাঁরা কথা বলেন। শো-রুম ঘিরে রাখে পুলিশ। বাইরের কাউকেই সেখানে ঘেঁষতে দেওয়া হয়নি।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দশেক আগে ওই শো-রুমটি খোলা হয়। জানা গিয়েছে, বিল বই, রেজিস্টার খুঁটিয়ে পরীক্ষা করেন ইডি আধিকারিকেরা। দু’টি ক্ষেত্রেই বেশ কিছু গরমিল ধরা পড়ে বলে জানা গিয়েছে। বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ওই শো-রুমের বিক্রি-বাটার নথি (‌সেলস লেজার) অনিয়মিত (আপ-টু-ডেট নয়)। এ ছাড়া আয়-ব্যয়ের হিসেবের খাতা ( অডিট ব্যালেন্স শিটও) খুঁজে পাওয়া যায়নি।

অভিযান চলার সময়ে উপস্থিত ছিলেন পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের স্থানীয় শাখার আধিকারিকও। তল্লাশি শেষে অবশ্য মুখ খুলতে চাননি ইডি-র দলটি। তাঁরা শুধু জানান, সংশ্লিষ্ট দফতরে তল্লাশির রিপোর্ট পাঠিয়ে দেওয়া হবে। শো-রুমের কর্ণধার রাজীববাবু বলেন, ‘‘ইডি আধিকারিকদের সবরকম সহযোগিতা করা হয়েছে।’’ তাঁর দাবি, সংস্থার কাছে তাঁর কয়েক লক্ষ টাকা বকেয়া আছে। তল্লাশির শেষে নোটিস খুলে দিয়ে যান ইডি আধিকারিকেরা। রাজীববাবু জানান, দোকান খোলা থাকবে। যা গয়না মজুত আছে তা বিক্রি করা হবে। পরে পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সূত্রের খবর, প্রায় সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকার এই প্রতারণার মামলায় দুর্গাপুর তো বটেই, দেশের নানা প্রান্তে নীরবের ওই গয়না সংস্থার শো-রুমগুলিতে অভিযান চালায় ইডি। এ দিনই অভিযান চালানো হয় পটনার শো-রুমেও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন