Murder: মেয়ের সামনে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ, ধৃত

পুলিশের দাবি, তদন্তে নেমে জানা গিয়েছে স্ত্রীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে বলে সন্দেহ করতেন বিজু। এই নিয়ে প্রায়ই অশান্তিও হতো।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০২১ ০৬:৫৪
Share:

তদন্তে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র।

শাবলের ঘায়ে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। রবিবার ভোরে কালনা ১ ব্লকের সুলতানপুর পঞ্চায়েতের ইসবপুর গ্রাম থেকে পায়েল মালিক (২৪) নামে ওই তরুণীর দেহ মেলে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ওই সময়ে বাবা-মায়ের সঙ্গেই শুয়েছিল দুই মেয়ে। পাঁচ বছরের বড় মেয়ে ঘটনাটি দেখেছে বলেও পুলিশকে জানিয়েছেন তাঁরা। পরে পুলিশ অভিযুক্ত দীপঙ্কর বিশ্বাস ওরফে বিজুকে গ্রেফতার করে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কেরলে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন বিজু। সম্প্রতি ইসবপুর গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে ফেরেন। আগেও সেখানেই ঘরজামাই হিসাবে থাকতেন তিনি। প্রতিবেশীরা জানান, বিজুর বাড়ি হুগলির চুঁচুড়ায়। তবে আট বছর আগে বিয়ে হওয়ার পর থেকে বেশির ভাগ এখানেই থাকতেন তিনি। পাঁচ ও তিন বছরের দুই সন্তান রয়েছে তাঁদের। প্রতিবেশীদের দাবি, স্ত্রীর সঙ্গে মাঝেমধ্যেই মনোমালিন্য হতো বিজুর। শনিবারও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয়। রাতে দুই মেয়েকে নিয়ে ঘরে শুয়েছিলেন পায়েল। বাইরে বাড়ির একটি বারান্দায় শুয়েছিলেন বিজু। অভিযোগ, ভোরে ঘরে রাখা শাবল দিয়ে ঘুমন্ত স্ত্রীর মাথায় আঘাত করেন তিনি। ঘটনাস্থলেই মারা যান ওই যুবতী। বিজুও গ্রামের সিভিক ভলান্টিয়ারের কাছে আত্মসমর্পণ করেন বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই স্থানীয় কিছু লোকজন বিজুকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। বুলবুলিতলা ফাঁড়ির পুলিশ এসে উদ্ধার করে তাঁকে।

পুলিশের দাবি, তদন্তে নেমে জানা গিয়েছে স্ত্রীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে বলে সন্দেহ করতেন বিজু। এই নিয়ে প্রায়ই অশান্তিও হতো। বড় মেয়ে ইতি মালিক বলে, ‘‘বাবা প্রথমে শাবল দিয়ে মাকে মারে। তারপরে নিজেও গলায় দড়ির ফাঁস লাগাচ্ছিল। দিদা ঘরে ঢুকতেই বাবা বেরিয়ে যায়। মায়ের কপাল থেকে রক্ত ঝরছিল তখন।’’ পায়েলদেবীর জেঠুতুতো দাদা রাজু মালিকেরও দাবি, ‘‘জামাই বরাবরই বোনকে সন্দেহ করত। রাতে চিৎকার শুনেছি। সকালেও চেঁচামেচি শুনে গিয়ে দেখি, বোন ওই অবস্থায় পড়ে রয়েছে।’’

Advertisement

এ দিন ময়না-তদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দেহ পাঠানো হয়। নিহতের মা, বাবা বর্ধমানে হাসপাতালে থাকায় বিষয়টি নিয়ে কিছু বলতে চাননি। কালনা থানার দাবি, খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরিবারের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। তদন্ত চলছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement