প্রকাশিত হল পুলিশের পুজো-গাইড। —নিজস্ব চিত্র।
ড্রোন, র্যাপি়ড অ্যাকশন ফোর্স, পুলিশ ক্যাম্প, ব্যবস্থা থাকবে সব কিছুরই। পুজো উপলক্ষে পশ্চিম বর্ধমানে এ ভাবেই নিরাপত্তায় কোনও রকম ফাঁক রাখতে চাইছে না আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট।
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, পশ্চিম বর্ধমান জেলায় এবার প্রায় ১৫০০ সর্বজনীন পুজোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একাধিক জনপ্রিয় পুজোগুলিতে অতিরিক্ত ভিড় সামাল দিতে বাড়তি নজরদারি থাকছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ কমিশনার লক্ষ্মীনারায়ণ মিনা জানান, এ বার জেলায় মোট ৫৭টি বিশেষ পুলিশ ক্যাম্প বসছে। বড় পুজো মণ্ডপগুলিতে নজরদারি চালাবে ড্রোন ও র্যাফ। পুজো উপলক্ষে পুলিশের একাধিক বিশেষ ‘মোবাইল ভ্যান’ এলাকায় ঘুরবে। খোলা হবে বিশেষ ‘কন্ট্রোল রুম’ও। শিশুরা ভিড়ের মাঝে হারিয়ে গেলে সহজে খুঁজে পেতে প্রত্যেকের গলায় পরিচয়পত্র ঝুলিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
পুজোর দিনগুলিতে বহিরাগত দুষ্কৃতী ঠেকাতে সীমানা এলাকাগুলিতে কড়া নজরদারি চালানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। প্রয়োজনে সীমানা ‘সিল’ করে দেওযা হবে। এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই ঝাড়খণ্ড পুলিশের কর্তাদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। দুই রাজ্য পুলিশের যৌথ দল সীমানা এলাকায় নজরদারি চালাবে।
প্রতি বারই রাস্তাঘাটের পরিস্থিতি নিয়ে অভিযোগ তোলেন এলাকাবাসী। পুজোর ক’দিন শহরে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। যানজট এড়াতে বিকেল থেকে কয়েকটি রাস্তাকে একমুখীও করা হচ্ছে।
শব্দবিধি নিয়েও সতর্কতা জারি করেছে কমিশনারেট। প্রতিমা বিসর্জনে ডিজে সাউন্ডবক্স বাজানো যাবে না। নবমীতে বিভিন্ন সংগঠন আখড়া বার করে। সেই সব আখড়াগুলিকে প্রয়োজনীয় অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে অস্ত্র হাতে আখড়া বার করা যাবে না বলে পুলিশ জানিয়েছে।
কমিশনার জানান, পুলিশের তরফে একা বসবাসকারী প্রবীণদের সপ্তমী থেকে নবমী পর্যন্ত, এই তিন দিন শহরের জনপ্রিয় পুজো মণ্ডপগুলি ঘুরিয়ে দেখানো হবে। শুক্রবার পুজো গাইডেরও উদ্বোধন করেন পুলিশ কমিশনার।