অষ্টমীতে তালা ভেঙে চুরি, ধরা পড়েনি কেউ

চার দিন পরেও তালা ভেঙে বাড়িতে চুরির কিনারা করতে পারেনি বর্ধমান থানা। পুলিশের ধারণা, ফাঁকা বাড়ির চুরির ঘটনার পিছনে পরিচিতজনেদের হাত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৬ ০০:৫৪
Share:

চার দিন পরেও তালা ভেঙে বাড়িতে চুরির কিনারা করতে পারেনি বর্ধমান থানা। পুলিশের ধারণা, ফাঁকা বাড়ির চুরির ঘটনার পিছনে পরিচিতজনেদের হাত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। অষ্টমীর বিকেলে বর্ধমান শহরের বিবেকানন্দ কলেজ মোড়ের কাছে বড়বালিডাঙায় রাস্তার উপর দোতলা একটি বাড়িতে চুরি হয়। পুলিশ জানিয়েছে, বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগে দুষ্কৃতীরা সদর দরজার তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকে লুঠপাট চালায়। জানাজানি হয়ে গেলে বাড়ির পিছনের দরজা দিয়ে চম্পট দেয় চোরেরা।

Advertisement

ওই বাড়ির কর্তা শশাঙ্কশেখর পাল পুলিশের কাছে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন, তাঁদের গ্রামের বাড়ি খণ্ডঘোষের রাউতারা গ্রামে। সেখানে শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের জন্য তিনি অষ্টমীর দিন বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। রাউতারা থেকে সন্ধে সাড়ে ৬টা নাগাদ বাড়িতে ঢুকতে গিয়ে দেখেন, সদর দরজার তালা ভাঙা। কিন্তু ভিতর থেকে বন্ধ। তিনি বলেন, “বুঝে যাই, ভিতরে লোক ঢুকে রয়েছে। তখন চিৎকার করে পড়শিদের ডাকি। লাঠি নিয়ে তাঁরা বাড়ির একটা অংশ ঘিরে ফেলেন। আমি দু’হাতে ইট নিয়ে বাড়ির পিছনে গিয়ে দেখি দরজা খোলা।” পুলিশের কাছে তিনি জানিয়েছেন, আগামী জানুয়ারি মাসে তাঁর মেয়ের বিয়ে। সে জন্য বেশ কয়েক ভরি গয়না তৈরি করে বাড়িতেই রেখে দিয়েছিলেন। আলমারি ভেঙে সেই সব গয়না ও কয়েক হাজার টাকা চুরি গিয়েছে বলেও তাঁর অভিযোগ।

শশাঙ্কশেখরবাবু বলেন, “আমার পরে দুপুর আড়াইটা নাগাদ ভাই বাড়ি থেকে বের হয়। মাত্র দু’তিন ঘন্টার মধ্যেই আমার সর্বস্ব খোয়া গেল।” পুলিশের ধারণা, দুষ্কৃতীরা বাড়ির ভিতর ঢুকে পরপর তিনটি তালা ভেঙেছে। তারপর নির্দিষ্ট একটি আলমারি ভেঙেই চুরি করেছে। সেই কারণেই পুলিশের অনুমান ওই পরিবারের পরিচিতদের চুরির ঘটনায় জড়িয়ে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন