জেলায় দু’দিনে চারজনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ জানায়, মৃতেরা হলেন মেমারির আমাদপুরের মোহন নন্দী (৬১), বর্ধমান সদর থানার বিধানপল্লির শুভেন্দু পাল (১৯), কালনা ২ ব্লকের মোহনপুরের গোবিন্দ দাস (৫৫) ও ভাতারের কোসিগ্রামের প্রভাতি মণ্ডল (৫৫)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বাড়িতেই মোহনবাবুকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান পরিবারের লোকেরা। পরিবারের দাবি, তিনি অনেকদিন ধরে নানা রোগে ভুগছিলেন। মানসিক অবসাদ থেকেই তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। অন্য দিকে, ওই দিন রাতে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় শুভেন্দুকে। তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সেখানেই তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। ওই দিন বিকেলে পেশায় নলকূপের মিস্ত্রি গোবিন্দবাবুর দেহ মেলে বাড়িতেই। আর প্রভাতিদেবীকে সোমবার সকালে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান বাড়ির লোকেরা। ভাতার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। মানসিক অবসাদের কারণেই তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে দাবি পরিবারের। পুলিশ সব ক্ষেত্রেই অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে।