চুরি যাওয়া পাঁচ লক্ষাধিক টাকার ডিআই পাইপ হাওড়া থেকে উদ্ধার

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কাটোয়া শেষ আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০২৪ ২৩:২৯
Share:

—নিজস্ব চিত্র।

জলপ্রকল্পের কাজের সময় চুরি যাওয়া পাঁচ লক্ষাধিক টাকার ডিআই পাইপ হাওড়া থেকে উদ্ধার করল পুলিশ। গত কয়েক মাস ধরেই পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার করুই গ্রামে জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের পানীয়জল প্রকল্পের কাজ চলছে। বিজয়চাঁদ চৌধুরী নামে এক ঠিকাদার ওই কাজ করছেন। তিনি গত ৪ ডিসেম্বর কাটোয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি পুলিশকে জানান, ওই দিন তাঁরা দেখতে পান, করুই গ্রামের শিবপুকুর মোড় থেকে শিবপুকুর পাড় পর্যন্ত রাস্তার ধারে ফেলে রাখা ডিআই পাইপগুলি নেই। দেখা যায়, সেখান থেকে ৪৯টি ডিআই পাইপ চুরি হয়ে গিয়েছে। সংস্থার পক্ষ থেকে ওই দিনই কাটোয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। কাটোয়ার এসডিপিও মহকুমা পুলিশ আধিকারিক কাশীনাথ মিস্ত্রি জানিয়েছেন ,ওই চুরির ঘটনায় ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে হাওড়া জেলার জগাছা থানা এলাকায় একটি লেদ কারখানা থেকে লরিতে বোঝাই করে রাখা ৪৯টি পাইপ উদ্ধার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে ওই লরিটিও।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তদন্তে নেমে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করে পুলিশ একটি ১০ চাকা লরির সন্ধান করে। যে লরিতে চাপিয়ে পাইপগুলি পাচার করা হয়েছিল, সেটি চিহ্নিত করে পুলিশ। লরির মালিকের নাম উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ জেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে ওই লরিটি আটক করে নিয়ে আসা হয়। তবে সেই দিন পুলিশ হানা দেওয়ার খবর পেয়েই লরি মালিক পালিয়ে যান। লরি মালিকের স্ত্রীর কাছ থেকে চালকের নাম জানতে পারে পুলিশ। তার পর ফের অভিযান চালিয়ে ১৭ জানুয়ারি পুলিশ লরির মালিক শাহজাহান শেখ এবং লরি চালক আলমগীর সাহুকে গ্রেফতার করে। তাঁদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ সেলিম শেখের নাম পায়। যে সেলিম শেখ ওই ঠিকাদারের শ্রমিক সর্দার। সেলিমই এই চুরির ঘটনার আসল মাস্টারমাইন্ড বলে জেনেছে পুলিশ। তাঁকে মুর্শিদাবাদ জেলায় তাঁর বাড়ি থেকে গত মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করা হয়। তিন জনকেই পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।

এসডিপিও জানিয়েছেন, ধৃতদের লাগাতার জেরার পর চুরি যাওয়া ওই পাইপগুলি হদিস পাওয়া যায়। এর পর পুলিশ শুক্রবার হাওড়া জেলার জগাছা থানা এলাকায় একটি লেদ কারখানায় হানা দিয়ে একটি লরিতে বোঝাই করা ৪৯টি পাইপ উদ্ধার করে। ওই কারখানাতে চুরি করা পাইপগুলিতে নাটবোল্ট লাগাতে দিয়েছিল সেলিমরা। সেখানে কাজ শেষ হয়ে গেলেই পাইপগুলি অন্য কোথাও পাচার করা হত। তার আগেই পুলিশ হানা দিয়ে পাইপগুলি উদ্ধার করে। লেদ কারখানার মালিক যদিও এই চুরির সঙ্গে সরাসরি জড়িত নন বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছে পুলিশ। তবে তদন্তের স্বার্থে তাঁকেও নোটিস করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন