রাস্তায় বালি, ঘুরে দেখবেন কর্তারা

এ দিনের বৈঠকে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে জমে থাকা মিউটেশন মামলাগুলি যত দ্রুত সম্ভব নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন মহকুমাশাসক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাটোয়া শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০১৯ ০০:০৭
Share:

রাস্তার ধারে জমে বালি, কাটোয়ায়। নিজস্ব চিত্র

রাস্তার ধারে ডাঁই হয়ে জমে বালি। দীর্ঘদিন তা না সরানোয় নষ্ট হচ্ছে রাস্তা, পাশের জমি— অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। পরিস্থিতি দেখতে নিয়মিত এলাকা পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ, প্রশাসনের যৌথ দল।

Advertisement

শুক্রবার কাটোয়ায় মহকুমাশাসকের কার্যালয়ে একটি বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়। ছিলেন এসডিপিও ত্রিদিব সরকার, ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিকেরা। প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গত ২১ জুন থেকে নদীগর্ভ থেকে বালি তোলায় নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। তার আগে মহকুমার ২১টি বৈধ ঘাটের মধ্যে বালি তুলে মজুত রাখার অনুমতি নিয়েছে ১৫টি ঘাট। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, বালি তুলে নিজস্ব জায়গায় রাখার বদলে মজুত করা হচ্ছে রাস্তায়। সম্প্রতি কাটোয়ার গোয়াইয়ের বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, বালি জমে থাকায় ক্ষতি হচ্ছে স্থানীয় ঐতিহ্যবাহী নীলকুঠী-সহ অজয়ের বাঁধ লাগোয়া রাস্তায়। যাতায়াতেও অসুবিধা হচ্ছে। এমনকি, নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার পরেও চরখি সেতু লাগোয়া বোলপুর রোড ও এসটিকেকে রোডে দিনভর দাঁড়িয়ে থাকছে বালিবোঝাই লরি, তাঁদের দাবি‌।

প্রশাসন সূত্রের খবর, ওই সব গাড়িতে থাকা বালির বেশির ভাগই আগে তুলে মজুত করা নয়, বরং নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এখনও অজয় নদী থেকে দেদার বালি তোলা চলছে। প্রশাসনের দাবি, এ সব বন্ধ করতে আগামী ৩০ জুলাই থেকে ৫ অগস্ট মহকুমার ৫টি ব্লকের বালিঘাট-সহ রাস্তা পরিদর্শন করবেন কর্তারা। ওই দলে থাকবেন ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর-সহ পুলিশ, পূর্ত ও মহকুমা প্রশাসনের আধিকারিকেরা। বালিবোঝাই গাড়িগুলোর চালানও পরীক্ষা করে তারিখ দেখা হবে, জানান মহকুমাশাসক।

Advertisement

এ দিনের বৈঠকে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে জমে থাকা মিউটেশন মামলাগুলি যত দ্রুত সম্ভব নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন মহকুমাশাসক। জানা যায়, এখন মহকুমায় ৩৬ হাজার মিউটেশন মামলা অমীমাংসিত রয়েছে। মহকুমা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক বীরেন্দ্রনাথ দাস বলেন, ‘‘এদের মধ্যে ১০ হাজার মামলার হার্ড কপি জমা পড়েনি। বাকি ক্ষেত্রে অনলাইনে তথ্য দেওয়া হয়েছে। ফলে ওই সব মামলার হিয়ারিং করা যাচ্ছে না।’’ ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে এসে মিউটেশন সংক্রান্ত নথি জমা দেওয়ার বিষয়ে নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়া জরুরি, দাবি তাঁর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন