প্রচারে তৃণমূল নেতারা। —নিজস্ব চিত্র।
হাতে আর সময় বেশি নেই। তার মধ্যে আবার বাধ সাধছে বৃষ্টি। বুধবার শহরে বৃষ্টি হয়নি। প্রায় দিনভর দুর্গাপুর জুড়ে চলল সব দলের প্রচার।
এ দিন সকালে রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস তৃণমূল প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচার শুরু করেন ১২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে। হুডখোলা জিপে রোড-শো, কখনও হেঁটে প্রচার করেন তিনি। সকালে ৫টি ওয়ার্ডে প্রচারের সময়ে কখনও তাঁর সঙ্গে ছিলেন আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি, কখনও কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। অরূপবাবু বলেন, ‘‘দুর্গাপুরের মানুষ জানেন, শহরের উন্নয়ন তৃণমূল ছাড়া আর কেউ করতে পারবে না। তাই তাঁরা ফের তৃণমূলকে সমর্থন করবেন।’’ সন্ধ্যায় বেনাচিতিতে ‘দুর্গাপুর মারোয়াড়ি সমাজ’ আয়োজিত সভায় যোগ দেন অরূপবাবু। ছিলেন মলয় ঘটক। বীরভানপুর লাগোয়া তেঁতুলতলা মোড়ে প্রচারে আসেন রাজ্যের মন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্ল। আর এক মন্ত্রী স্বপন দেবনাথও বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রচারে বেরোন।
এ দিন ডিপিএল কলোনিতে জনসভা করেন সিপিএম সাংসদ মহম্মদ সেলিম। তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘‘পুলিশকে বলছি, বাইরে থেকে যেন আর তৃণমূলের মস্তানরা না ঢোকে। ভোটের দিন সন্ত্রাস ছড়ালে আমাদের কর্মীরা কিন্তু তাদের আর ফিরে যেতে দেবে না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘একজোট হয়ে রায়গঞ্জের আদিবাসী মহিলারা দেখিয়েছেন, মানুষের জয় কী। দুর্গাপুরেও আপনারা নিজেদের বুথ আগলান। দরকার হলে হাতুড়ি, কাস্তেতে শান দিন এখন থেকে।’’ সভার আগে পিসিবিএল মোড় থেকে ডিপিএল কলোনি মিছিলে হাঁটেন তিনি।
সিপিএমের অভিযোগ, সেলিমের সভা করতে না দেওয়ার জন্য সকাল থেকে তৃণমূল নানা ভাবে বাধা দিয়েছে। এ ব্যাপারে অভিযোগ জানানো হয়েছে মহকুমা রিটার্নিং অফিসারের কাছে। প্রার্থীদের সুরক্ষা ও মানুষ যাতে নিজেদের ভোট দিতে পারেন, তা নিশ্চিত করার দাবিতে হাইকোর্টে যে রিট পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল, তার শুনানি হবে আজ, বৃহস্পতিবার। সিপিএমের অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল।
শহরে প্রচার সারলেন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ও। মুচিপাড়া থেকে প্রার্থীদের সঙ্গে মিছিল করে সগরভাঙা হয়ে দুর্গাপুর বাজারে যান তিনি। সভায় তাঁর অভিযোগ, ‘‘সন্ত্রাস করে মানুষকে আটকাতে চাইছে তৃণমূল। নিজের ভোট সবাই দিতে পারলে বিজেপি-র জয় নিশ্চিত।’’ ডিএসপি টাউনশিপ, ট্রাঙ্ক রোড, প্রান্তিকা এলাকায় প্রচার করেন তিনি।