প্রতীকী ছবি।
দুর্গাপুরের বন্ধ রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানা এমএএমসি পরিদর্শনে কনসোর্শিয়ামের প্রতিনিধিরা এসেছিলেন সোমবার। তবে তার নেপথ্যে আগামী বিধানসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে বিজেপির রাজনীতি রয়েছে বলে অভিযোগ করলেন বিরোধীরা। যদিও বিজেপি অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
২০০২-এর ৩ জানুয়ারি কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা: বিইএমএল, সিআইএল ও ডিভিসি-কে নিয়ে তৈরি কনসোর্শিয়াম ২০১০-এ এমএএমসি-র দায়িত্ব পায়। তিন সংস্থা নিজেদের মধ্যে ‘শেয়ার হোল্ডার এগ্রিমেন্ট’ চূড়ান্ত করলেও, তা এখনও প্রধানমন্ত্রীর দফতরের অনুমোদন পায়নি, দাবি শ্রমিক নেতৃত্বের। এই পরিস্থিতিতে সোমবার দুপুরে কনসোর্শিয়ামের কনভেনার তথা বিইএমএল-এর আধিকারিক অতনুরতন ভট্টাচার্য-সহ ওই তিন সংস্থার আধিকারিকেরাই এমএএমসি পরিদর্শনে আসেন।
কিন্তু এ পর্যন্ত কারখানা চালু না হওয়ায় সরব হয়েছেন কারখানার সিটু নেতা বিনয়েন্দ্রকিশোর চক্রবর্তী, আইএনটিইউসি প্রভাবিত ‘হেভি ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন’-এর সম্পাদক অসীম চট্টোপাধ্যায়েরা। রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রের তরফে এই পরিদর্শনের পিছনে রাজনীতি দেখছেন বিরোধীরা। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকারের অভিযোগ, ‘‘কেন্দ্রে বিজেপি সরকার থাকার সময়েই এমএএমসি বন্ধ হয়েছিল। এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখন ক্রীড়ামন্ত্রী। তিনি ফ্যাক্স বার্তা দেখিয়ে দাবি করেছিলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী জানিয়েছেন, এমএএমসি খুলবে’। পুরোটাই ভাঁওতা। নির্বাচন সামনে। তাই আবার তৎপরতা শুরু হয়েছে।’’ তৃণমূলের অন্যতম জেলা সহ-সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায়ও বলেন, ‘‘হঠাৎ কনসোর্শিয়ামের তরফে এই পরিদর্শনের পিছনে রাজনৈতিক কারণ থাকতেই পারে।’’ অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপি নেতা অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিজেপি শ্রমিক-স্বার্থে রাজনীতি করে না। সেটা করে বিরোধীরা। এই পরিদর্শন কেন্দ্রীয় সরকারের কারখানা খোলার সদিচ্ছারই ইঙ্গিত দিচ্ছে।’’