সাফাই হয় না, নর্দমার জল উপচে আসছে পথে

নিয়মিত সাফাইয়ের অভাবে কোথাও নর্দমার জল উপচে পড়ছে রাস্তায়, কোথাও বা আবার দোকান, বাড়িতে ঢুকে পড়ছে নোংরা জল— এমনই অভিযোগ দুর্গাপুর পুর-এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের। পুরসভার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে, স্টিল পার্ক মোড় থেকে কাঁকসার আড়া যাওয়ার রাস্তার পাশেই রয়েছে একটি বড় নর্দমা। বিধাননগর এলাকার একটা বড় অংশের নোংরা জল ওই নর্দমাতে আসে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০১৫ ০১:০৩
Share:

স্টিল পার্ক মোড়ের কাছে তোলা নিজস্ব চিত্র।

নিয়মিত সাফাইয়ের অভাবে কোথাও নর্দমার জল উপচে পড়ছে রাস্তায়, কোথাও বা আবার দোকান, বাড়িতে ঢুকে পড়ছে নোংরা জল— এমনই অভিযোগ দুর্গাপুর পুর-এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের।

Advertisement

পুরসভার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে, স্টিল পার্ক মোড় থেকে কাঁকসার আড়া যাওয়ার রাস্তার পাশেই রয়েছে একটি বড় নর্দমা। বিধাননগর এলাকার একটা বড় অংশের নোংরা জল ওই নর্দমাতে আসে। কিন্তু সাফাইয়ের অভাবে স্টিল পার্কের কাছে ওই নর্দমাটি প্রায় মুজে গিয়েছে বলে দেখা গেল। এর জেরে নোংরা জল উপচে পড়ছে রাস্তায়। অথচ ওই রাস্তাটি দিয়েই মহকুমা হাসপাতাল, বিভিন্ন বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ-সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দফতরে দিনভর যাতায়াত করেন বাসিন্দারা। শুধু তাই নয়, কাঁকসার বিভিন্ন গ্রামের সঙ্গে দুর্গাপুর শহরের যোগাযোগের অন্যতম ভরসা এই রাস্তাটিই। এলাকার বাসিন্দা স্বদেশ সাহা, সুমন রায়’রা বলেন, ‘‘অবস্থা এতটাই খারাপ যে রাস্তায় চলাচল করাও কঠিন হয়ে পড়ছে। একটু বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি আরও শোচনীয় হয়ে ওঠে।’’ এই অঞ্চলেই রয়েছে বেশকিছু ফাস্ট ফুডের দোকান। মাঝেসাঝেই নর্দমার জল দোকানেও উঠে আসছে বলে জানান সুখেন্দু ঘোষ, প্রতাপ স্বরের মতো স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। সুখেন্দুবাবু বলেন, ‘‘নোংরা জল ডিঙিয়ে অনেকেই দোকানে আসতে চান না। এর জেরে ব্যবসাও মার খাচ্ছে।’’

২০ নম্বর ওয়ার্ডের বিদ্যাসাগরপল্লি, সুভাষপল্লি প্রভৃতি এলাকায় আবার অল্প বৃষ্টিতেই নর্দমার জল বাড়ির মধ্যে ঢুকে যায়। বিদ্যাসাগরপল্লির পাশ দিয়ে একটি বড় নর্দমা চলে গিয়েছে। সাফাইয়ের অভাবে এই নর্দমাটিও বেহাল। এলাকার বাসিন্দা রেণুকা রায়, সরস্বতী গড়াই’রা বলেন, ‘‘গত বছর বর্ষার সময় বাড়িতে নোংরা জল ঢুকে গিয়েছিল। তার জেরে নিত্য প্রয়োজনীয় বহু জিনিস নষ্ট হয়ে যায়।’’ ৪১ নম্বর ওয়ার্ডেও বীরভানপুরের মূল নর্দমাটিও সাফাইয়ের অভাবে বেহাল। এর জেরে অল্প বৃষ্টিতেই তাঁতিপাড়া, পালপাড়ার একাংশ জলমগ্ন হয়ে পড়ে।

Advertisement

বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, পুর এলাকার ৪৩টি ওয়ার্ড জুড়েই কম-বেশি সমস্যাটা একই রকম। বেনাচিতি সংলগ্ন ধনুরা প্লট, মহিষ্কারপুর ও ভিড়িঙ্গি লাগোয়া এলাকাতেও প্রায় একই চিত্র। সিটি সেন্টার, বিধাননগরের মতো শহরের অভিজাত এলাকাতেও পুরসভার তরফে নিয়মিত সাফাই চালানো হয় না বলে অভিযোগ। সমস্যা রয়েছে বীরভানপুর, অঙ্গদপুরের মতো গ্রামীণ এলাকাতেও।

পুরসভার ডেপুটি মেয়র অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘নিকাশি সমস্যা সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন