মিড-ডে মিলের সমস্যা মিটল কাটোয়ার স্কুলে

এক দিকে দুর্নীতি, আক এক দিকে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষিকার টানাপড়েনে বন্ধ হয়ে যেতে বসেছিল স্কুলের মিড-ডে মিল। শেষ পর্যন্ত জেলাশাসকের হস্তক্ষেপে বকেয়া টাকা মিটিয়ে সমস্যার কিছুটা সুরাহা মিলেছে কাটোয়ার ডিডিসি গার্লস হাই স্কুলে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০১৬ ০২:৩১
Share:

এক দিকে দুর্নীতি, আক এক দিকে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষিকার টানাপড়েনে বন্ধ হয়ে যেতে বসেছিল স্কুলের মিড-ডে মিল। শেষ পর্যন্ত জেলাশাসকের হস্তক্ষেপে বকেয়া টাকা মিটিয়ে সমস্যার কিছুটা সুরাহা মিলেছে কাটোয়ার ডিডিসি গার্লস হাই স্কুলে।

Advertisement

অভিযোগ ছিল, মাসছয়েক ধরে পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূলের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিড-ডে মিলের বিলে সই না করে তিন মুদি দোকানি ও সব্জি সরবরাহকারীর বকেয়া টাকা আটকে রেখেছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে সর্বশিক্ষা প্রকল্পে ছাত্রীদের স্কুল ইউনিফর্ম কেনার বিলেও সই না করার অভিযোগ তুলেছিলেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা কবিতা সরকার। এ নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয় অভিভাবকদের মধ্যেও। পরে সংবাদপত্রে খবর প্রকাশিত হওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। ২১শে জুলাই জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন জেলা স্কুল পরিদর্শককে নিয়ে ওই স্কুল পরিদর্শনে আসেন। অভিযোগ খতিয়ে দেখে স্কুল অ্যাকাউন্টের কার্যকারক হিসাবে সভাপতির জায়গায় পরিচালন সমিতির আর এক সদস্য, শিক্ষিকা রেখা মুখোপাধ্যায়কে বিলে সই করার নির্দেশ দেন তিনি।

প্রধান শিক্ষিকা তথা পরিচালন সমিতির সম্পাদক কবিতা সরকার জানান, নতুন নির্দেশে সভাপতির সই ছাড়াই স্কুল তহবিলের টাকা তোলা যাচ্ছে। মুদি দোকানি ও সব্জি সরবরাহকারীদের বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষাকা রেখাদেবীও বলেন, ‘‘স্কুলে অনেক অভাবী মেয়ে পড়তে আসে। মিড-ডে মিল বন্ধ হয়ে গেলে তারা দুর্ভোগে পড়ত। জেলাশাসকের পদক্ষেপে আমরা খুশি।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement