পুজো-প্রস্তুতি ব্যাহত ভোটে, ভাবনা বৃষ্টিও

জুলাইয়ের মধ্যে খুঁটিপুজো সেরে পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায় প্রতি বছর। কিন্তু এ বার খুঁটিপুজো হচ্ছে এই সময়ে। বেনাচিতির অগ্রণী, ডিপিএলের বি-জোন আদিবেদীর মতো কিছু পুজো কমিটির খুঁটিপুজো ভোটের মাঝেই হয়েছে। কিন্তু সে ভাবে কাজ শুরু হয়নি।

Advertisement

অর্পিতা মজুমদার

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০১৭ ০৭:৩০
Share:

এখনও বাকি বহু কাজ। নিজস্ব চিত্র

হাতে আর মাত্র একটা মাস। অথচ, কাজ তেমন কিছুই এগোয়নি। টানা বৃষ্টি ও পুরভোট, এই দুইয়ের গেরোয় এ বার দুর্গাপুরে পুজোর প্রস্তুতিতে অনেকটা পিছিয়ে পড়েছেন উদ্যোক্তারা। সময়ের মধ্যে আয়োজন শেষ করতে হলে দ্রুত কাজ করতে হবে, মনে করছেন তাঁরা। কিন্তু বৃষ্টির চোখরাঙানিতে আশঙ্কা কাটছে না।

Advertisement

জুলাইয়ের মধ্যে খুঁটিপুজো সেরে পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায় প্রতি বছর। কিন্তু এ বার খুঁটিপুজো হচ্ছে এই সময়ে। বেনাচিতির অগ্রণী, ডিপিএলের বি-জোন আদিবেদীর মতো কিছু পুজো কমিটির খুঁটিপুজো ভোটের মাঝেই হয়েছে। কিন্তু সে ভাবে কাজ শুরু হয়নি। পুরভোটের পর দিনই খুঁটিপুজো করেছে বিধাননগরের ক্লাব স্যান্টোস, সি-জোন-এর মতো নানা উদ্যোক্তা। সব মিলিয়ে বড় বা মাঝারি, কোনও পুজোরই মণ্ডপ তৈরির কাজ এগোয়নি শহরে।

বিভিন্ন পুজোর সঙ্গে নানা ভাবে জড়িত রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা। পুজো উদ্যোক্তাদের অনেকে জানান, ভোট হওয়ার কথা ছিল মে মাসে। তা না হওয়ায় তাঁরা মনে করেছিলেন, বেশ কয়েক মাস পিছিয়ে যাবে ভোট। কিন্তু অগস্টে ভোট ঘোষণা হতেই কপালে ভাঁজ পড়ে। কিন্তু তখন আর কিছু করার ছিল না। ভোট নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন নেতা-কর্মীরা। ফল বেরনোর পরে তাঁরা এ বার পুজোর আয়োজনে নজর দিতে শুরু করেছেন।

Advertisement

দুর্গাপুরের নানা পুজো প্রতি বছর বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় পুরস্কার জেতে। মণ্ডপ তৈরির কাজ শুরু হয়ে যায় অন্তত তিন মাস আগে থেকে। অথচ, পুজোর মাত্র ৩৫ দিন আগে শহর ঘুরে দেখা গেল, বেনাচিতির নবারুণ ক্লাব বা ডিএসপি টাউনশিপের মার্কনির পুজোর মণ্ডপের বাঁশের খাঁচা তৈরি হচ্ছে। বিধাননগরের ক্লাব স্যান্টোসের পুজোয় সবে মাঠে বাঁশ পড়েছে। উদ্যোক্তাদের তরফে হৃদয় সাঁই বলেন, ‘‘ভোটের জন্য দেরি হয়ে গেল। তবে ঠিক সময়েই পুজোর সব আয়োজন সারা হয়ে যাবে। রাত-দিন এক করে কাজ হবে।’’

অন্য নানা পুজো উদ্যাক্তাদেরও আশ্বাস, মণ্ডপের ভিতরে বা গায়ের শিল্পকর্ম তৈরির কাজকর্ম শুরুর বরাত আগেই দিয়ে দেওয়া হয়েছে শিল্পীদের। তাঁরা সে কাজ শুরু করে দিয়েছেন। মাঠে মণ্ডপের কাঠামো তৈরি করার পরে সে সব নিয়ে এসে জোড়া হবে। তাই এখন যতটা অগোছাল মনে হচ্ছে, সেই পরিস্থিতি থাকবে না বলে তাঁদের দাবি।

কিন্তু এখন আবার পুরোদমে কাজ করতে বাধ সাধছে বৃষ্টি। তাই এ বার শহরে পুজোর জৌলুস কেমন হবে, সে নিয়ে চিন্তা থাকছেই বাসিন্দাদের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন