ট্রেনে কাটা পড়ার আগে খুন, কিনারা

ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সোমবার গ্রেফতার করা হয়েছে লিপিকা বারুই নামে এক বধূকে। রেল পুলিশের দাবি, মহিলার সঙ্গে সুশীল মণ্ডলের সম্পর্কের কথা জানতে পেরে কয়েকজন সঙ্গী নিয়ে তাঁকে খুন করে ওই বধূর স্বামী। পরে দেহ ফেলে দেয় রেললাইনে। তারা সবাই পলাতক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কালনা শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০১৭ ০১:০৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

দিন সাতেক আগে রেল লাইনে দেহ মিলেছিল এক যুবকের। কিন্তু ট্রেনের চাকায় কেটে যাওয়া গলায় অন্য ক্ষতচিহ্নও ছিল। ঘটনাস্থল থেকে ফুট কুড়ি দূরে কচুগাছের গায়ে লেগেছিল রক্তের ছিটে। লাগোয়া পাট খেতে মিলেছিল মোবাইল। দেহ আর রক্তের দাগ থেকে ঘটনাটি আত্মহত্যা নয় বলে সন্দেহ হয়েছিল পুলিশের। আর মোবাইলের কললিস্ট ঘেঁটে কালনার শ্যামগঞ্জপাড়ার সুশীল মণ্ডল খুনের কিনারা করল তারা।

Advertisement

ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সোমবার গ্রেফতার করা হয়েছে লিপিকা বারুই নামে এক বধূকে। রেল পুলিশের দাবি, মহিলার সঙ্গে সুশীল মণ্ডলের সম্পর্কের কথা জানতে পেরে কয়েকজন সঙ্গী নিয়ে তাঁকে খুন করে ওই বধূর স্বামী। পরে দেহ ফেলে দেয় রেললাইনে। তারা সবাই পলাতক। মঙ্গলবার কালনা আদালতের বিচারক লিপিকাকে ৫ দিনের পুলিশের হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। রেল পুলিশের কালনার ওসি দীপ্তেশ চট্টোপাধ্যায় জানান, লিপিকা জেরায় খুনের ঘটনা স্বীকার করেছেন।

২০ জুন রাতে বাড়ি থেকে সাইকেল নিয়ে বেরোন সুশীল (৩২)। পরদিন শাসপুরে রেললাইনে তাঁর দেহ মেলে। কিছু দূরে পাট খেতে মধ্যে মেলে তাঁর চটি, মোবাইল, সাইকেল। নিহতের আত্মীয়দের অভিযোগ, তাঁকে খুন করা হয়েছে। রেল পুলিশের দাবি, এলাকার জুয়ার ঠেকে যাতায়াত ছিল সুশীলের। সেখানেই তাঁর আলাপ লিপিকার স্বামী সাধন বারুইয়ের সঙ্গে। পুলিশ মোবাইলের কল লিস্টে দেখে, ২০ জুন রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত একটি নম্বরে বেশ কয়েকবার কথা বলেছেন সুশীল। নম্বরটি বছর উনিশের লিপিকা বারুইয়ের।

Advertisement

সূত্রের খবর, গত মাস ছয়েক লিপিকার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান সুশীল। লিপিকা জানিয়েছেন, ঘটনার রাতে সাধনই লিপিকাকে দিয়ে ফোন করিয়ে গভীর রাতে সুশীলকে বাড়িতে ডাকায়। মারধরের পরে, ছুরি দিয়ে গলার নলি কেটে খুন করা হয় তাঁকে। দেহ ফেলা হয় রেললাইনে। ওই রাত থেকেই সাধন বাড়িছাড়া। জুয়ার ঠেকে সুশীলের যাতায়াত বা লিপিকার সঙ্গে সম্পর্কের কথা তাঁদের অজানা ছিল বলে দাবি নিহতের ভাই সুশান্ত মণ্ডলের। তিনি বলেন, ‘‘গোড়া থেকেই বলছিলাম, দাদাকে খুন করা হয়েছে। তদন্তে সেটাই প্রমাণ হল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন