বারবার অস্ত্র উদ্ধার, সীমানায় নজরে প্রশ্ন

মঙ্গলবার গভীর রাতে কুলটির কুলতড়া লাগোয়া জিটি রোড থেকে তিন জনকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেফতার করে পুলিশ। রাস্তায় টহল দেওয়ার সময়ে তাদের সন্দেহজনক ভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে জেরা করা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০১৯ ০০:৩৮
Share:

কুলটিতে ধৃতেরা। নিজস্ব চিত্র

গত পনেরো দিনে গ্রেফতার হয়েছে ছ’জন। তাদের কাছ থেকে মিলেছে আগ্নেয়াস্ত্র। ধৃতদের সকলেরই বাড়ি ঝাড়খণ্ডে। পরপর এ ভিন্‌ রাজ্যের দুষ্কৃতী ধরা পড়ায় সীমানায় নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে পশ্চিম বর্ধমানে। বিষয়টি প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তরে জানিয়েছেন বলে জানান কুলটির বিধায়ক উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়। পুলিশের আশ্বাস, সীমানায় নজরদারি কড়া করা হচ্ছে।

Advertisement

মঙ্গলবার গভীর রাতে কুলটির কুলতড়া লাগোয়া জিটি রোড থেকে তিন জনকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেফতার করে পুলিশ। রাস্তায় টহল দেওয়ার সময়ে তাদের সন্দেহজনক ভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে জেরা করা হয়। অসংলগ্ন কথাবার্তা শুনে থানায় নিয়ে এসে তল্লাশি করলে নয় রাউন্ড কার্তুজ ও একটি দেশি আগ্নেয়াস্ত্র মেলে বলে জানায় পুলিশ। ধৃতদের বুধবার আসানসোল আদালতে তোলা হলে চার দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। পুলিশ জানায়, ধৃতদের বাড়ি ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ জেলায়। কেন তারা আগ্নেয়াস্ত্র-সহ জড়ো হয়েছিল, তা জানতে জেরা করা হচ্ছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, একই ভাবে ১৫ জুলাই কুলটির গল্ফ মাঠ থেকে তিন জনকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেফতার করা হয়েছিল। তারাও ধানবাদের বাসিন্দা। পুলিশের দাবি, জেরায় সেই ধৃতেরা জানায়, ডাকাতির উদ্দেশ্যে তারা জড়ো হয়েছিল। ওই গল্ফ মাঠেই রয়েছে এডিসিপি (পশ্চিম)-র কার্যালয়। সেখানে ডাকাতির জন্য ভিন্‌ রাজ্যের লোকজন জড়ো হওয়ায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকে।

Advertisement

পরপর আগ্নেয়াস্ত্র-সহ ভিন্‌ রাজ্যের বাসিন্দা গ্রেফতার হওয়ার ঘটনায় এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কুলটির বিধায়ক উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়ও। তাঁর অভিযোগ, ‘‘অবাধ অনুপ্রবেশের ফলে এলাকার নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। অপরাধ ঘটানোর পাশাপাশি নানা উস্কানিও ছড়াচ্ছে ওরা। বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর নজরেও এনেছি।’’ এলাকায় দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য বৃদ্ধির অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূলের কুলটি ব্লক সভাপতি মহেশ্বর মুখোপাধ্যায়ও। তিনি দাবি করেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সম্প্রতি এলাকায় জনসংযোগ করার সময়ে স্থানীয় বাসিন্দারা এই বিষয়ে অভিযোগও জানিয়েছেন।’’ বিজেপি-র জেলা সহ-সভাপতি প্রশান্ত চক্রবর্তীরও অভিযোগ, ‘‘পুলিশ-প্রশাসনের নজরদারি শিথিল হয়ে গিয়েছে। তাই দুষ্কৃতী আনাগোনা বেড়েছে।’’

এডিসিপি (পশ্চিম) অনমিত্র দাস বলেন, ‘‘সীমানায় নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে। আরও সিসিটিভি বসানো হবে।’’ ধৃতদের জেরা করে আরও কিছু তথ্য জানার চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন