চলছে পরিদর্শন। নিজস্ব চিত্র
উপযুক্ত পরিকাঠামো নেই। অথচ, গত দু’মাসে অন্তত ২০ জনের অ্যালাইজা পরীক্ষায় ডেঙ্গি ‘পজিটিভ’ মিলেছে। ওই পরীক্ষার পদ্ধতি ‘সন্দেহজনক’ দাবি করে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা নাগাদ কাটোয়ার টেলিফোন ময়দানের একটি বেসরকারি রোগনির্ণয় কেন্দ্র (ডায়াগনিস্টিক সেন্টার) পরিদর্শন করলেন ভারপ্রাপ্ত সহকারী মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রতন শাসমল।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা যায়, টেলিফোন ময়দানে বছর দশেক ধরে রোগনির্ণয় কেন্দ্রটি চালান মানস দাস। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা অনুযায়ী গত সেপ্টেম্বর থেকে বেসরকারি রোগনির্ণয় কেন্দ্রগুলি ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার মতো মশাবাহিত রোগের পরীক্ষার রিপোর্ট স্বাস্থ্য দফতরে জমা দিচ্ছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা যায়, ওই রোগনির্ণয় কেন্দ্রটি দু’মাসে দু’দফায় ২০ জনের ক্ষেত্রে ডেঙ্গি পজিটিভ রিপোর্ট দিয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতর জানায়, এর পরে কোন্ যন্ত্রে, কী রিএজেন্ট ব্যবহার করে পরীক্ষা করা হচ্ছে সে বিষয়ে ওই রোগনির্ণয় কেন্দ্রটির কাছে লিখিত ভাবে জানতে চাওয়া হয়। তার পরে এ দিন ওই পরিদর্শন চলে। অ্যালাইজা পরীক্ষার জন্য যে সব যন্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে তা দেখে ব্যবহৃত রিএজেন্টের রেকর্ড সংগ্রহ করা হয় বলে স্বাস্থ্য দফতর জানায়।
স্বাস্থ্য দফতর জানায়, ওই ডায়গনস্টিক সেন্টারে ১৩০০ টাকায় অ্যালাইজা পরীক্ষা করা হচ্ছে। ওই টাকায় উন্নতমানের ‘কিট’ ব্যবহার আদৌ সম্ভব কি না, সে বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। রতনবাবু এ দিন বলেন, ‘‘গত সেপ্টেম্বরে ওই সেন্টারটি বেশকিছু অ্যালাইজা এনএসওয়ান ও অ্যালাইজা আইজিএম টেস্ট রিপোর্ট পাঠায়। এদের পরিকাঠামো ঠিক কি না, পরীক্ষার গুণগত মান রক্ষিত হচ্ছে কি না, তা দেখার জন্য সংগৃহীত নথি মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে পাঠানো হবে।’’
অন্য দিকে, এ দিন ওই রোগনির্ণয় কেন্দ্রকে ডেঙ্গি নির্ধারণের জন্য ‘কার্ড পদ্ধতি’তে পরীক্ষা করতে নিষেধ করা হয় বলে স্বাস্থ্য দফতর জানায়। মানসবাবুর দাবি, ‘‘কার্ড পদ্ধতিতে পরীক্ষার বিষয়ে স্বাস্থ্য দফতরের কোনও নিষেধাজ্ঞা এত দিন ছিল না। এ দিন বারণ করায় আর তা করব না। ঠিক ভাবে সমস্ত নিয়মনীতি মেনে অ্যালাইজা পরীক্ষা করা হয়।’’
আগামী সপ্তাহে আসা জেলা স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্টে পরিকাঠামোর অভাব ধরা পড়লে ওই রোগনির্ণয় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান রতনবাবু।