উপযুক্ত ডিগ্রি ছাড়া অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা করার অভিযোগ উঠল পাঁচ জনের বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে দুর্গাপুর থানায় অভিযোগ করেছে স্বাস্থ্য দফতর। পশ্চিম বর্ধমানের ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) শঙ্খ সাঁতরা জানান, পুরসভা, মহকুমা হাসপাতাল ও প্রশাসনের যৌথ পরিদর্শনকারী দল পরীক্ষা করে প্রাথমিক ভাবে অনিয়ম খুঁজে পায়। রিপোর্ট যায় স্বাস্থ্য দফতরে। তার পরেই অভিযোগ হয়েছে থানায়।
রোগীদের কাছ থেকে ভুয়ো চিকিৎসকের অভিযোগ পেয়ে কুড়ুরিয়া ডাঙালের সুদিম দাম, বি-জোনের রামানুজম রোডের অসীম কুমার মুখোপাধ্যায়, রঘুনাথপুরের এস আর সর, কাদা রোডের সন্তোষকুমার রজক এবং সি-জোনের ছবিলাল ঠাকুরির চেম্বারে অভিযান চালানো হয়। প্রশাসন সূত্রের খবর, রঘুনাথপুরে গিয়ে পরিদর্শনকারী দল দেখে, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা করছেন। রোগীরা তাঁকে এমবিবিএস পাশ চিকিৎসক হিসেবেই জানেন। চেম্বারে গর্ভপাতের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম মেলে বলেও অভিযোগ। বাকিদের চেম্বারে গিয়েও নানা অনিয়ম মিলেছে বলে পরিদর্শনকারী দলটি রিপোর্ট পাঠায় স্বাস্থ্য দফতরে।
রাজ্যের নানা প্রান্তে ভুয়ো চিকিৎসকের অভিযোগ উঠেছে গত কয়েক দিনে। তাই দুর্গাপুরে এই খবর জানাজানির পরেই রোগীদের মধ্যে চাঞ্চল্য তৈরি হয়। তবে অভিযানের পরে কয়েক দিন কেটে গেলেও কোনও ব্যবস্থা না হওয়ায় সে নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ১৯ জুন পশ্চিম বর্ধমানের এসিএমওএইচ-এর দফতর থেকে পাঁচ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু কোন থানায় অভিযোগ করা হবে, তা নিয়ে টানাপড়েন তৈরি হয়। স্বাস্থ্য দফতরের অফিস নিউ টাউনশিপ থানা এলাকায় পড়ে। অথচ, অভিযুক্তেরা দুর্গাপুর থানা এলাকার। শেষে পুলিশের পরামর্শে দুর্গাপুর থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযুক্ত চিকিৎসকদের দাবি, অনেক সময়ে উপযুক্ত ডিগ্রি না থাকলেও এলাকাবাসী ও রোগীদের দাবি মেনে কিছু চিকিৎসা তাঁদের করতে হয়। সেটুকুই তাঁরা করেছেন।