পাসবই আটকে রাখেন তৃণমূল নেতারা, নালিশ

রবিউল হোসেন, শেখ সের আলি, নিমাই মালি, বদরুদ্দোজা মণ্ডলেরা জানান, হঠাৎ হঠাৎ করে একশো দিনের মজুরির টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রায়না শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০১৯ ০১:১৭
Share:

প্রতীকী ছবি

কাজ না করেও একশো দিনের মজুরির টাকা ঢুকছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে, তার ভাগও নিয়েছেন তৃণমূল নেতারা— এমন অভিযোগ জানিয়েছেন রায়নার নাড়ুগ্রাম পঞ্চায়েতের সোমেশপুর গ্রামের ৩৬ জন। ব্লক অফিসে চিঠি দিয়ে ‘প্রতারণা’ আটকানোর আবেদন করেছেন তাঁরা। রায়না-১ এর বিডিও সৌমেন বণিক প্রত্যেকের বক্তব্য সরাসরি শোনার জন্যে আজ, বুধবার তাঁদের শুনানিতে ডেকেছেন।

Advertisement

গ্রামবাসী শেখ মইনুল হাসান, শেখ হাসান আহমেদের দাবি, “বছরের পর বছর ধরে চলে আসা বেনিয়ম সহ্য হচ্ছিল না। ভয়ে প্রতিবাদও করতে পারছিলাম না। মুখ্যমন্ত্রীর কথায় উৎসাহিত হয়ে আমরা সাধারণ মানুষদের একজোট করে ব্লক দফতরে চিঠি দিয়েছি।’’ তাঁদের অভিযোগ, একশো দিনের প্রকল্প ছাড়াও গাছ বিক্রির দুর্নীতি নিয়ে গ্রামবাসীরা ব্লক অফিসে স্মারকলিপি দিয়েছেন। তাতে তাঁদের দাবি, ডিভিসি সেচখালের দু’ধারে সার দিয়ে সোনাঝুরি গাছ ছিল। আচমক নিজস্ব প্রয়োজনে স্থানীয় তৃণমূল নেতারা ১১২টি গাছ কেটে নিয়েছেন। গাছগুলি কাটার জন্যে বন দফতর বা সেচ দফতর তো বটেই, স্থানীয় প্রশাসনেরও অনুমতি নেওয়া হয়নি বলে তাঁদের দাবি।

রবিউল হোসেন, শেখ সের আলি, নিমাই মালি, বদরুদ্দোজা মণ্ডলেরা জানান, হঠাৎ হঠাৎ করে একশো দিনের মজুরির টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকত। পাসবই আটকে রেখে দিতেন তৃণমূল নেতারা। হুমকি দিয়ে ফর্মে সই করিয়ে টাকা তুলে নিত নেতারা। তাঁদের দাবি, ব্লক দফতরে চিঠি দিতে গিয়ে তাঁরা জানতে পেরেছেন, গ্রামের কেউ কেউ ৯৯ দিন পর্যন্ত কাজ পেয়েছেন। অথচ বাস্তবে ২০-২৫ দিনের বেশি তাঁরা একশো দিন প্রকল্পে কাজ করেননি। বিডিওকে দেওয়া চিঠিতে তাঁদের দাবি, ‘সরকারি প্রকল্পের টাকা নয়ছয় করা হয়েছে। ঘর দেব বলেও অনেকের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে। মানুষ প্রতারণার শিকার হয়েছেন। প্রতারণার হাত থেকে মানুষকে বাঁচান’।

Advertisement

ওই গ্রামেই বাড়ি নারুগ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শেখ ইসমাইল ওরফে শান্তর। তিনি বলেন, “বিডিও সুপারভাইজারদের নিয়ে বসেছিলেন। অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’’ ব্লক তৃণমূল সভাপতি শৈলেন সাঁইয়ের দাবি, “মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। সেই মতো ওই গ্রামের বাসিন্দারা দুর্নীতির প্রতিবাদ করে চিঠি দিয়েছেন। প্রশাসন তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন