Raju Jha

‘তৃণমূলে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছিলাম’, রাজুর জন্য দুঃখপ্রকাশ অর্জুনের, লতিফকে নিয়েও আশঙ্কা

পশ্চিম বর্ধমানের কয়লা ব্যবসায়ী রাজু ঝা খুনের পর ৫ দিন কেটে গিয়েছে। শুক্রবার তাঁর দুর্গাপুরের বাড়িতে যান বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ। সেখানে রাজুকে নিয়ে নয়া দাবি করলেন তৃণমূল নেতা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০২৩ ১৫:৪৯
Share:

বর্ধমানের ল্যাংচা হাবের সামনে খুন হন কয়লা ব্যবসায়ী রাজু। শুক্রবার তাঁর বাড়িতে যান অর্জুন। —ফাইল চিত্র।

২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দিলেও পরে সে ভাবে পশ্চিম বর্ধমানের কয়লা ব্যবসায়ী রাজু ঝাকে আর রাজনীতির ময়দানে দেখা যায়নি। তাঁর খুনের ৫ দিন পরে চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন সাংসদ অর্জুন সিংহ। তাঁর দাবি, সম্প্রতি রাজুকে তিনি তৃণমূলে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তার মাঝেই এই খুনের ঘটনা ঘটল। একই সঙ্গে গরু পাচারকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত আব্দুল লতিফ, যিনি ওই দিন রাজুর গাড়িতে ছিলেন বলে একটি সূত্রের দাবি, সেই লতিফকেও ‘সরিয়ে দেওয়া হতে পারে’ বলে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন খাতায় কলমে বিজেপি সাংসদ তথা তৃণমূল নেতা অর্জুন।

Advertisement

গত শনিবার বর্ধমানের ল্যাংচা হাবের সামনে খুন হন কয়লা ব্যবসায়ী রাজু। একটি নীল রঙের গাড়িতে আততায়ীরা এসে তাঁকে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে চম্পট দেয়। তার পর ওই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল। এই খুনের ঘটনায় রাজ্য রাজনীতিতেও শোরগোল শুরু হয়েছে। শাসকদল তৃণমূল অভিযোগ করছে, এক সময় দিলীপ ঘোষদের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেওয়া রাজুর খুনে রাজনীতি যোগ থাকতে পারে। বিজেপি অবশ্য সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। এর মাঝে অর্জুন দাবি করেন তিনি রাজুকে ব্যক্তিগত ভাবে চিনতেন। এক সময় রাজু জেল খেটেছেন। তবে এখন তিনি ‘ভাল ব্যবসায়ী’ হয়ে উঠেছিলেন বলেও দাবি করেন সাংসদ। তবে শুক্রবার নতুন একটি দাবি করলেন অর্জুন। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের পারিবারিক সম্পর্ক ছিল। ওর (রাজুর) সঙ্গে কোনও ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল না আমার। আসলে ওর গ্রামের বাড়ি (বিহারে) এবং আমার বাড়ি একই জায়গায় ছিল। সেই সূত্রে পরিচয়।’’ পাশাপাশি দিলীপ ঘোষ এবং তাঁর উপস্থিতিতে রাজু বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন সে কথা উল্লেখ করে সাংসদ বলেন, ‘‘ও পার্টি (বিজেপি) করেনি। পরে আমরা ওকে তৃণমূলে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছিলাম। তার মধ্যেই এমন ঘটনা ঘটে গেল।’’

তবে তিনি কাউকে এই খুনের ঘটনায় সন্দেহ করেন কি না, তা খোলসা করেননি অর্জুন। শুধু বলেন, ‘‘আমার মনে হয়, এতে বাইরের কারও ইনভলভ্‌মেন্ট আছে। অর্জুনের সংযোজন, ‘‘আমি ইডি, সিবিআই, সিআইডি নই। তবে যারা করেছে, এটা ভাববেন না যে তারা খুব শান্তিতে আছে।’’

Advertisement

অন্য দিকে, আব্দুল লতিফকে নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে অর্জুন বলেন, ‘‘দ্রুত গ্রেফতার না হলে লতিফকেও সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। যাতে লিঙ্ক কেটে যায়।’’ ব্যারাকপুরের সাংসদ মনে করেন ‘বড় কোনও মাথা’ আছে এই খুনের নেপথ্যে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন