থইথই রাস্তা। দুর্গাপুরের মুচিপাড়ায় ২ নম্বর জাতীয় সড়কের আন্ডারপাসে রবিবার সকালে বিশ্বনাথ মশানের তোলা ছবি।
টানা দু’ঘন্টার বৃষ্টিতে রবিবার সকালে জলমগ্ন হয়ে পড়ল দুর্গাপুর শহরের বিভিন্ন এলাকা। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে জল নেমে গেলেও টানা দিন কয়েক ভারী বর্ষণ হলে শহরের পরিস্থিতি কী হতে পারে, এ দিনের চিত্র দেখার পরে সে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাসিন্দারা। এ দিনই বিকেলে আবার সিটি সেন্টারের নন্দলাল বীথিতে বড় গাছ ভেঙে পড়ায় ঘণ্টাদুয়েক যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।
গত কয়েক দিন ধরেই মাঝে-মাঝে বৃষ্টি হচ্ছে দুর্গাপুরে। রবিবার সকাল ১০টা নাগাদ জোর বৃষ্টি শুরু হয়। চলে প্রায় দুপুর ১২টা পর্যন্ত। বহু রাস্তা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সিটি সেন্টারের কবিগুরু সরণি, বরফ কলের সামনের রাস্তা, মাইকেল ফ্যারাডে রোড, ফুলঝোড় লাগোয়া স্টিল পার্ক মোড়, বেনাচিতির ৫৪ ফুট এলাকা, বেনাচিতির নাচন রোডের একাংশ, মেনগেট-সহ শহরের বেশ কিছু অংশে জল জমে যায়। আটকে পড়েন মানুষজন। জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের জন্য বিভিন্ন মোড়ে নির্মাণকাজ চলছে। অধিকাংশ মোড়েই জল দাঁড়িয়ে পড়ে।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত কয়েক বছরের অপরিকল্পিত নগরায়নের ফল এ বার ভুগতে শুরু করেছে দুর্গাপুরে। পর্যাপ্ত নিকাশি নালা গড়ার দিকে জোর দেওয়া হয়নি। অথচ আবাসন, বাড়ি নির্মাণ হয়েই চলেছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাবও সমস্যার অন্যতম কারণ। প্লাস্টিক ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হলেও এখনও দেদার তা ব্যবহার হচ্ছে শহরে। অনেকেই প্লাস্টিকের প্যাকেট ব্যবহারের পরে ফেলে দেন বাড়ির পাশের নর্দমায়। বৃষ্টির জলে সেগুলি বয়ে গিয়ে আটকে যাচ্ছে নর্দমার মুখে। ফলে, জল নামতে দেরি হচ্ছে। অবিলম্বে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন বলে শহরবাসীর অনেকেরই মত। পুরসভার তরফে অবশ্য দাবি করা হয়, বর্ষার আগে সমস্ত নিকাশি নালার একপ্রস্ত সংস্কার হয়েছে। বৃষ্টি কমলেই ফের কাজে নামা হবে।
এ দিনই বিকেলে সিটি সেন্টারের নন্দলাল বীথিতে একটি গাছ ভেঙে পড়ায় রাস্তাটি বন্ধ হয়ে যায়। বিকল্প রাস্তা থাকায় মানুষজন তেমন অসুবিধায় পড়েননি ঠিকই, তবে গাছ সরিয়ে রাস্তা সাফ করতে কয়েক ঘণ্টা লেগে যাওয়ায় বিরক্ত স্থানীয় বাসিন্দারা। দ্রুত ঘটনাস্থলে যান ২২ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়ার্ড সভাপতি পরিমল অগস্তি। তবে পুরকর্মীরা আসতে দেরি করেছেন বলে অভিযোগ। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার ছুটির দিন থাকায় কিছুটা সমস্যা হয়েছে।