Purbasthali

মাটিতে পরপর গর্ত, আতঙ্ক গ্রামে

গ্রামে চাষের জমিতে এখন রয়েছে পাট গাছ। স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার জমিতে চাষের কাজ করছিলেন নুর আলম মোল্লা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পূর্বস্থলী শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০২৩ ০৯:৩৪
Share:

দেখা যাচ্ছে এমন গর্ত। নিজস্ব চিত্র

জমিতে হঠাৎ তৈরি হচ্ছে একের পর এক বড় গর্ত। কোনওটি ১৫ ফুট গভীর। কোনওটি আরও বেশি। এই ঘটনায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে পূর্বস্থলীর মুকসিমপাড়া পঞ্চায়েতের জয়কৃষ্ণপুরের কবিরাজপাড়ায়। এর কারণ স্পষ্ট না হলেও বিশেষজ্ঞদের মতে, দু’টি কারণে এই ঘটনা ঘটতে পারে। প্রথমত, প্রচুর পরিমাণে ভূগর্ভস্থ জল তুলে নেওয়ায় মাটি আলগা হয়ে ধস নামতে পারে। দ্বিতীয়ত, শিয়াল জাতীয় প্রাণী বসবাসের জন্য জমি খুঁড়ে গর্ত করতে পারে।

Advertisement

গ্রামে চাষের জমিতে এখন রয়েছে পাট গাছ। স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার জমিতে চাষের কাজ করছিলেন নুর আলম মোল্লা। তাঁর নজরে আসে, গভীর গর্ত তৈরি হয়েছে তাঁর জমিতে। তিনি বলেন, ‘‘জমিতে এ ভাবে গর্ত তৈরি হলে চাষ করা মুশকিল।’’ সামিরুল মণ্ডল, আব্দুল রফিক শেখ, আবদুল্লা শেখের মতো কয়েক জন চাষির দাবি, তাঁদের জমিতেও একই ধরনের গর্ত দেখা গিয়েছে। আহাবুল শেখের দাবি, তাঁর বাড়ি লাগোয়া খামারেও গর্ত তৈরি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা পিকু শেখ বলেন, ‘‘মাঠের প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকার বিভিন্ন জায়গায় গর্ত তৈরি হয়েছে।’’ জিগর আলি শেখ নামে এক প্রবীণের কথায়, ‘‘এখানে এমন ঘটনা আগে ঘটেনি।’’ হাসান মণ্ডল বলেন, ‘‘মাঠে ছাগল-গরু চরাতে যেতে ভয় পাচ্ছেন সকলে।’’

জেলার সহ-কৃষি আধিকারিক সুকান্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘প্রচুর পরিমাণ ভূগর্ভস্থ জল তুলে নেওয়া হলে ধস নেমে গর্ত তৈরির সম্ভাবনা থাকে। করোনা-কালে শিয়ালের মতো প্রাণীর সংখ্যা বেড়েছে। তারা রাতে বেরিয়ে গর্ত তৈরি করে। সম্প্রতি বৃষ্টির জেরে মাটি নরম হয়েছে। মাটি খুঁড়তে সুবিধা হচ্ছে ওদের। তবে এলাকায় গিয়ে দেখলে বিষয়টি বোঝা যাবে।’’ আর এক সহ-কৃষি আধিকারিক পার্থ ঘোষ বলেন, ‘‘অনেক সময়ে মাটির তলা দিয়ে পাইপ নিয়ে যাওয়া হলেও গর্ত তৈরি হয়।’’ মুকসিমপাড়া পঞ্চায়েতের প্রধান আলিবুদ্দিন শেখ বলেন, ‘‘বিষয়টি ব্লক প্রশাসনের নজরে আনা হচ্ছে।’’ পূর্বস্থলী উত্তরের বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় জানান, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন