—প্রতীকী ছবি।
ভাগীরথীতে ভেসে যাওয়া শিশুকে উদ্ধার করে সাহসিকতার পুরস্কার পেলেন এক রিকশা চালক। সম্প্রতি বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ছ’দিনের শিশুকন্যাকে জলে ভাসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল পরিজনদের বিরুদ্ধে। রতন শেখ নামে বছর পঞ্চাশের ওই রিকশা চালকের তৎপরতায় উদ্ধার হয় শিশুটি। বুধবার কাটোয়া থানার তরফে পুরস্কৃত করা হয় জামাইপাড়ার বাসিন্দা রতনকে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২৭ অক্টোবর কাটোয়ায় ভাগীরথীর হরিসভাপাড়া বালির ঘাটে যখন ঘটনাটি ঘটে, সেই সময়ে সেখানে খেলছিল উজ্জ্বল শেখ নাম বছর চোদ্দোর এক কিশোর। ঘাটে মাছ ধরার জন্য ছিপ নিয়ে বসেছিলেন রতন। তিনি বলেন, ‘‘উজ্জ্বল আমাকে ডাকে। দেখি, জলে কাপড়ে মোড়া পুঁটুলি থেকে দু’টি কচি পা বেরিয়ে আছে। তখনই ঘাটের নীচের সিঁড়িতে নেমে শিশুটিকে তুলে আনি।’’ এই ঘটনায় শিশুটির মা-সহ চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার রতন ও উজ্জ্বলের হাতে স্মারক, ফুল, মিষ্টি তুলে দেন পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘শিশুহত্যা রুখতে অনেক প্রচার চালানো হয়। ওঁরা হাতেকলমে করে দেখিয়েছেন।’’ ভাগীরথীর মরা ঘাটে তলিয়ে যাওয়া এক বৃদ্ধাকে উদ্ধারের জন্য ভাতারের এক সিভিক ভলান্টিয়ারকেও পুরস্কৃত করা হয়। ২ অক্টোবর ঘাটে স্নান করতে গিয়ে পা পিছলে জলে পড়ে যান বছর সত্তরের ওই বৃদ্ধা। তখন সেখানে স্নানে আসেন ন’নগরের বাসিন্দা, সিভিক ভলান্টিয়ার অমিত পালও। জলে ঝাঁপ দিয়ে বৃদ্ধাকে উদ্ধার করেন অমিত।