এই বাড়িতেই হামলা। নিজস্ব চিত্র।
জায়গার দখল আর জলের পাইপলাইন বসানো নিয়ে মামলা চলছে পড়শির সঙ্গে। এ বার সেই পড়শি এবং তার দলবলের বিরুদ্ধেই গভীর রাতে বৃদ্ধকে ঘরে আটকে রেখে লুঠপাটের অভিযোগ উঠল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ন’জনকে গ্রেফতার করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ। শুক্রবার গভীর রাতে বর্ধমান শহরের ঘটনা।
বর্ধমানের বিসি রোড লাগোয়া এনডি কায়েম লেনের বাসিন্দা ৮৪ বছরের বৃদ্ধ তারাপদ ঘোষ পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন, ওই রাতে তাঁর পড়শি পূর্ণচন্দ্র সিংহ, তাঁর দুই ছেলে-সহ কুড়ি জনের একটি দল আচমকা ঘরে ঢুকে পড়ে। তারপরে বৃদ্ধকে ঘরে আটকে রাখা হয়। কেড়ে নেওয়া হয় মোবাইল ও সঙ্গে থাকা টাকা। বৃদ্ধের অভিযোগ, ‘‘আমার গলা চেপে চড়-থাপ্পড়, কিল-ঘুঁষি মারতে থাকে ওরা। প্রায় দমবন্ধ হয়ে আসছিল। হাতে-পায়ে ধরার পরে মারধর বন্ধ করে। হুমকি দিতে থাকে পুলিশে খবর দিলে প্রাণে মেরে দেওয়া হবে।” এরপরে দোতলার শৌচাগার ভেঙে দরজা-জানলা ট্রাক্টরের ট্রলিতে তোলা হচ্ছিল। ইতিমধ্যে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে চলে আসে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকেই বমাল গ্রেফতার করা হয় ন’জনকে। তবে বাকিরা চম্পট দেয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বৃদ্ধের সঙ্গে জায়গা ও জলের পাইপ লাইন বসানো নিয়ে দীর্ঘদিনের বিবাদ রয়েছে পড়শি পূর্ণচন্দ্রের সঙ্গে। বর্ধমান জেলা আদালতে মামলাও চলছে। ওই ঘটনার পরে অবশ্য অভিযুক্তদের এলাকায় দেখা যায়নি বলে পুলিশ সূত্রে খবর। অভিযুক্ত পড়শির বাড়ি ও দোকানে যাওয়া হলেও এ দিনের ঘটনা প্রসঙ্গে কেউ কোনও কথা বলতে চাননি।
ওই রাতের পরে তারাপদবাবু বাড়িতে নেই। কোথায় রয়েছেন, সে সম্পর্কে কোনও কথা বলতে রাজি হননি ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া এবং তারাপদবাবুর মেয়ে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের বাড়ি শহরের লাকুড্ডি জলকল, কাঞ্চননগর, উদয়পল্লি ও ছোটনীলপুর এলাকায়। রবিবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের জেল হাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে ট্রলি সমেত ট্রাক্টর, ১৪টি সাইকেল-সহ বেশ কিছু জিনিসপত্র বজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।