অণ্ডালে ডাকাতি-চুরি চার বাড়িতে, প্রশ্নে নিরাপত্তা

ক্যাম্পপাড়ার বাসিন্দারা জানান, এক দশক আগে এখানে ক্যাম্পে পুলিশ থাকলেও এখন থাকে না। ওই এলাকাতেই থাকেন পেশায় খান্দরা কোলিয়ারির কর্মী বিজন মণ্ডল। তিনি জানান, মঙ্গলবার রাত ১২টা নাগাদ কাজ করতে খনিতে গিয়েছিলেন

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

অণ্ডাল শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ০১:৪৭
Share:

লন্ডভন্ড বাড়ি। বুধবার সকালে অণ্ডালে। নিজস্ব চিত্র

একটি বাড়িতে ডাকাতি ও একটি বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটল অণ্ডালের ময়রা পুলিশ ক্যাম্পপাড়ায়। সেই সঙ্গে অণ্ডালেরই ময়রা চার নম্বর এলাকায় খনিকর্মী আবাসনে আরও দু’টি বাড়িতে চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ। একই থানা এলাকায় পরপর এমন দুষ্কর্মে নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী।

Advertisement

ক্যাম্পপাড়ার বাসিন্দারা জানান, এক দশক আগে এখানে ক্যাম্পে পুলিশ থাকলেও এখন থাকে না। ওই এলাকাতেই থাকেন পেশায় খান্দরা কোলিয়ারির কর্মী বিজন মণ্ডল। তিনি জানান, মঙ্গলবার রাত ১২টা নাগাদ কাজ করতে খনিতে গিয়েছিলেন। বুধবার ভোর ৫টা নাগাদ বাড়ি ফিরে দেখেন, তাঁর স্ত্রী চিন্তামণিদেবী ও দুই শিশুকন্যা আতঙ্কে রয়েছে।

চিন্তামণিদেবী পুলিশের কাছে জানান, মঙ্গলবার রাত ৩টে নাগাদ বাড়ির পিছনের দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে পড়ে দুই দুষ্কৃতী। দু’জনেরই হাতে ছিল রড। ঘরে ঢুকেই তাঁকে দু’চড় মারে এক দুষ্কৃতী, অভিযোগ চিন্তামণিদেবীর। তাঁর কথায়, ‘‘দুষ্কৃতীরা হুমকি দিয়ে বাংলায় বলে, ‘চুপচাপ বসে থাক। বাইরে আমরা আরও দশ জন আছি।’ চুপ না থাকলে আমাকে ও দুই মেয়েকে খুন করবে।’’ বিজনবাবু জানান, এর পরেই দুষ্কৃতীরা স্ত্রী’র গায়ের গয়না ও বাড়ির বেশ কিছু জিনসপত্র নিয়ে চম্পট দেয়।

Advertisement

বিজনবাবুর বাড়ি থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে থাকেন খনিকর্মী সঞ্জয়কুমার সোনি। তিনি দিন দশেক আগে ছত্তীসগঢ়ে বাড়ি গিয়েছিলেন। পড়শিরা জানান, বুধবার সকালে তাঁরা দেখেন, সঞ্জয়কুমারবাবুর বাড়ির দরজার তালা ভাঙা। এ ছাড়া ময়রা চার নম্বর এলাকায় দু’টি খনিকর্মী আবাসন থেকেও চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। পড়শিরা জানিয়েছেন, প্রাক্তন খনিকর্মী বিনোদ সিংহ ও ঝাঝরা খনির কর্মী রামসেবক সিংহের আবাসনের তালা ভেঙেছে দুষ্কৃতীরা। তাঁরা দু’জনেই মাসখানেক আগে আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে গিয়েছেন। তাই কী কী চুরি গিয়েছে ওই দুই আবাসন থেকে, তা পড়শিরা জানাতে পারেননি বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।

পরপর এমন ঘটনায় এলাকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দা সদানন্দ রাম, রেখা মিত্রেরা জানান, বাড়ির পাশেই চুরি হলেও তাঁরা কিছু টের পাননি। তাঁদের দাবি, এলাকায় পুলিশি টহল বাড়াতে হবে। তবে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এডিসিপি (পূর্ব) অভিষেক মোদী বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে ডাকাতি ও চুরির তদন্ত শুরু হয়েছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজ চলছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন