উদ্ধার হওয়া বোমা। —নিজস্ব চিত্র।
একটি প্লাস্টিকের জারিকেনের মধ্যে বোমা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে। সোমবার ভাতারের কালুত্তক গ্রামের কবরস্থান সংলগ্ন এলাকায় ঝোপের মধ্যে বোমাগুলি দেখতে পান স্থানীয়েরা। তাঁদের মাধ্যমে খবর যায় পুলিশের কাছে। ঘটনাস্থলে যায় ভাতার থানার পুলিশ। সংশ্লিষ্ট এলাকাটি ঘিরে রেখে সিআইডি এবং বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডকে খবর দেওয়া হয়। অন্য দিকে, এই বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউত্তর।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ভাতারের কালুত্তক গ্রামের গোরস্থানের কাছে একটি জারিকেনের মধ্যে বোমাগুলি দেখতে পান স্থানীয়েরা। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, জারিকেনে সাত-আটটি বোমা ছিল। সেগুলি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। তবে বোমাগুলি কোথা থেকে এল, কে বা কারা রেখে গেল, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। বোমা উদ্ধারের ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী। ওই গোরস্থানের জমির মালিক হামিদুর রহমানের দাবি, তিনি কিছুই জানেন না। কিন্তু গোরস্থানের চাবি তাঁর কাছেই থাকে। তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ আমাকে ডেকে নিয়ে আসে। আমি চাবি খুলে দিই। ওই পুরো এলাকাটি ঘুরে দেখে পুলিশ।’’
অন্য দিকে, পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু কোনারের অভিযোগ, গ্রামে অশান্তি পাকানোর জন্য সিপিএম বোমা রেখেছে। তিনি বলেন, ‘‘ওই এলাকা নিত্যানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্ভুক্ত। বর্তমানে এলাকার দু’জন পঞ্চায়েত সদস্য সিপিএমের।’’ সিপিএম অবশ্য অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। বোমা উদ্ধারের ঘটনায় তারা তৃণমূলকে দায়ী করছে। ভাতার ১ নম্বর এরিয়া কমিটির সম্পাদক নজরুল হক বলেন, ‘‘এলাকায় আমাদের দুজন পঞ্চায়েত সদস্য থাকলেও তৃণমূল আমাদের সদস্যদের কোনও কাজ করতে দেয় না। গুরুত্বও দেয় না। আর এখন বোম উদ্ধারের ঘটনায় আমাদের নাম জড়াচ্ছে। ভুয়ো এবং মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।’’