TMC Councillor Vs TMC Panchayat Member

মেলায় তৃণমূল কাউন্সিলর ‘বনাম’ তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যা! বচসা, বিতণ্ডায় শোরগোল বর্ধমান শহরে

রবিবার সন্ধ্যায় বর্ধমান-২ ব্লকের বৈকুণ্ঠপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যা সুজাতা মণ্ডল সপরিবারে মেলায় গিয়েছিলেন। মেলায় ঢোকার আগে তিনি নিজের স্কুটারটি রাখেন অস্থায়ী পার্কিংয়ের জায়গায়।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২৫ ২১:৩১
Share:

(বাঁ দিকে) তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যা সুজাতা হালদার। (ডান দিকে) তৃণমূল কাউন্সিলর সনৎ বক্সী।

অস্থায়ী পার্কিংয়ে স্কুটার রাখা নিয়ে বচসা তৃণমূল কাউন্সিলর এবং তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার। তা-ই নিয়ে হুলস্থুল কাণ্ড বর্ধমান শহরের উৎসব ময়দান এলাকায়। কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অশালীন আচরণেপর অভিযোগ করলেন পঞ্চায়েত সদস্যা। পাল্টা ওই নেত্রীর বিরুদ্ধে ‘বাজে ব্যবহারের’ অভিযোগ এনেছেন কাউন্সিলর। এ নিয়ে অস্বস্তিতে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। খোঁচা দিয়েছে বিজেপি।

Advertisement

রবিবার সন্ধ্যায় বর্ধমান-২ ব্লকের বৈকুণ্ঠপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যা সুজাতা হালদার সপরিবারে মেলায় গিয়েছিলেন। মেলায় ঢোকার আগে তিনি নিজের স্কুটারটি রাখেন অস্থায়ী পার্কিংয়ের জায়গায়। মেলা দেখে ফিরে দেখেন দু’চাকার যানের গায়ে দাগ কাটা হয়েছে। সুজাতার অভিযোগ, বিষয়টি নিয়ে তিনি পার্কিংয়ের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে সেখানে হাজির হন বর্ধমান পুরসভার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সনৎ বক্সী। এবং তিনি এসেই তাঁকে গালিগালাজ শুরু করেন। সুজাতার কথায়, ‘‘আমার হাত টেনে ধরেন উনি। মাটিতে ফেলে দেওয়া হয় আমাকে।’’

এখানেই শেষ নয়, সুজাতার দাবি, এর পরে স্থানীয় তৃণমূল কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ধমকানো হয়। দলেরই একজন মহিলা জনপ্রতিনিধির সঙ্গে এমন আচরণের নিন্দা করে কাউন্সিলরের শাস্তির দাবি করেন তিনি। পঞ্চায়েত সদস্যা এ নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হচ্ছেন বলে জানান। অন্য দিকে, ‘অভিযুক্ত’ তৃণমূল কাউন্সিলরের দাবি, পঞ্চায়েত সদস্যাই তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘সুজাতা হালদারই খারাপ ব্যবহার করেছেন। আমি ঝামেলা-অশান্তি মেটাতে গেলে আমার সঙ্গে উনি যা তা ব্যবহার করেছেন।’’

Advertisement

এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বর্ধমানের বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, “মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর রাজ্যে তাঁর দলের মহিলানেত্রীই নিরাপদ নন! তা-হলে এই সরকার সাধারণ মহিলাদের সুরক্ষা দেবে কী করে?’’

তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে বাগবুল ইসলামের অবশ্য দাবি, “এটা ওই দু’জনের ব্যক্তিগত বিষয়। দু’জনেই জনপ্রতিনিধি। তাঁদের তর্কে অন্য কারও জড়ানো উচিত হয়নি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘দল থেকে সর্বদা সকলকে নম্র এবং সংযত আচরণের নির্দেশ দেওয়া হয়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement