বাঁধের মাটিও দেদার পাচার

বেআইনি ভাবে বালি-মাটি তোলার নালিশ আউশগ্রাম থেকে কালনায়

নদী থেকে যন্ত্রের সাহায্যে মাটি ও বালি কেটে পাচারের অভিযোগ উঠল আউশগ্রামে। এ ভাবে মাটি ও বালি কাটায় নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের। খবর পেয়ে তদন্তের জন্য প্রতিনিধি পাঠিয়ে কাজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে পঞ্চায়েত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আউশগ্রাম শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০১৯ ০৩:৩৫
Share:

আউশগ্রামের কয়রাপুরের কাছে খড়ি নদীর পাড় থেকে মাটি কাটা হয়েছে বলে অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র

নদী থেকে যন্ত্রের সাহায্যে মাটি ও বালি কেটে পাচারের অভিযোগ উঠল আউশগ্রামে। এ ভাবে মাটি ও বালি কাটায় নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের। খবর পেয়ে তদন্তের জন্য প্রতিনিধি পাঠিয়ে কাজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে পঞ্চায়েত। দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরেরও। তবে এ নিয়ে এখনও কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত দু’দিন ধরে আউশগ্রামের কয়রাপুরের কাছে খড়ি নদী থেকে যন্ত্র দিয়ে মাটি ও বালি কেটে ট্রাক্টরে করে পাচার করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। এলাকাবাসীর একাংশ অভিযোগ করেন, এর জেরে বাঁধ লাগোয়া নদীর ভিতরের দিকে অনেকটা গভীরতা তৈরি হয়েছে। শুধু এই দু’দিন নয়, কয়রাপুর এলাকায় খড়ি নদীর কয়েকটি ঘাট থেকে নিয়মিত বালি তুলে পাচার করা হয় বলেও অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকের। তাঁদের আরও অভিযোগ, নদী থেকে মাটি ও বালি তুলে গ্রামের উপর দিয়ে তা নিয়ে যাওয়ায় রাস্তা ও জমি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।

বাসিন্দারা জানান, প্রতি বছর বর্ষায় এই এলাকা খড়ি নদীর জলে প্লাবিত হয়। মাটি কাটার জন্য নদীর পাড়ও ভেঙে যাচ্ছে। এ ভাবে যন্ত্র দিয়ে মাটি কাটার জন্য তা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা তাঁদের। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বন্যা আটকাতে পঞ্চায়েত থেকে বাঁধ মেরামত করা হলেও সেই বাঁধের মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় বিল্বগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান টুম্পা মেটে বলেন, ‘‘অভিযোগ পাওয়ার পরেই পঞ্চায়েত থেকে প্রতিনিধি পাঠিয়ে সরেজমিনে বিষয়টি দেখা হয়েছে এবং কাজ বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’

Advertisement

বিষয়টি ব্লক প্রশাসনকেও জানানো হয়েছে বলে পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে। আউশগ্রাম ১ ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক সব্যসাচী দাস সোমবার বলেন, ‘‘বিষয়টি আগে জানা ছিল না। সদ্য অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ ওই এলাকায় নিয়মিত অভিযান চালানো হবে বলে আশ্বাস তাঁর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন