কুড়ুরিয়াডাঙা

মেলেনি গাড়ি, যুবকের মৃত্যুতে ক্ষোভ

ওষুধ কিনতে বেরিয়ে পথে আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন যুবক। প্রায় মিনিট পনেরো রাস্তায় পড়ে থাকার পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত্যু হয় দুর্গাপুরের কুরুড়িয়াডাঙা এলাকার বাসিন্দা সুখেন বাউরি (৩৫) নামে ওই যুবকের। বাসিন্দাদের অভিযোগ, যুবককে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য এলাকার একটি ভ্রমণ সংস্থার কাছে গাড়ি চেয়েও পাওয়া যায়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০১৬ ০৮:০১
Share:

ওষুধ কিনতে বেরিয়ে পথে আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন যুবক। প্রায় মিনিট পনেরো রাস্তায় পড়ে থাকার পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত্যু হয় দুর্গাপুরের কুরুড়িয়াডাঙা এলাকার বাসিন্দা সুখেন বাউরি (৩৫) নামে ওই যুবকের। বাসিন্দাদের অভিযোগ, যুবককে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য এলাকার একটি ভ্রমণ সংস্থার কাছে গাড়ি চেয়েও পাওয়া যায়নি। যুবকের মৃত্যুর পরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

Advertisement

পরিবারের সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো সোমবারও সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে পড়েন সুখেনবাবু। ঘুম থেকে উঠেই তাঁর স্বামী বুকে ব্যথা অনুভব করেন বলে জানান সুখেনবাবুর স্ত্রী শিবানীদেবী। তিনি জানান, বুকে ব্যথা হওয়ায় সুখেনবাবু ওষুধ কিনতে বাড়ি থেকে বের হন। আধ ঘণ্টা বাদেই বাড়িতে খবর আসে, সুখেনবাবু অসুস্থ হয়ে রাস্তায় পড়ে রয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দা মনোজ সিংহ জানান, বাড়ির অদূরেই আচমকা রাস্তার উপরে লুটিয়ে পড়েন সুখেনবাবু। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসেন বাসিন্দারা। চোখে, মুখে জল ছিটিয়ে যুবকের জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করা হয়। শুরু হয় প্রাথমিক শুশ্রূষাও। যদিও এ সবে কোনও লাভ হয়নি বলে জানান মনোজবাবু।

এরপরেই বাসিন্দারা গাড়ির খোঁজে সামনের মোড়ের দিকে যান। কিন্তু সেখানে তখন কোনও গাড়ি ছিল না। যদিও বাসিন্দাদের দাবি, ওই মোড়েই একটি বেসরকারি ভ্রমণ সংস্থার গাড়ি দাঁড়িয়ে ছিল। কিন্তু ওই সংস্থার কর্তাদের কাছে গাড়ি চাওয়া হলে তাঁরা ‘বড় গাড়ি দেওয়া যাবে না’ বলে ফিরিয়ে দেন বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। শুধু তাই নয়, ওই সংস্থার কর্তারা জানিয়ে দেন, এই মুহূর্তে কোনও ছোট গাড়ি নেই।

Advertisement

বাসিন্দারা জানান, গাড়ি জোগাড় করতে আরও মিনিট দশেক কেটে যায়। পরে গাড়ি করে সুখেনবাবুকে দুর্গাপুর স্টিল হসপিটালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন, পথেই মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের। মৃতের দাদা নরেশ বাউরির দাবি, ‘‘ডাক্তাররা জানিয়েছেন, যদি আর খানিক আগে ভাইকে হাসপাতালে আনা যেত, তা হলে হয়তো চিকিৎসার সুযোগ মিলত।’’

যুবকের মৃত্যুর খবর চাউর হতেই উত্তেজিত হয়ে পড়েন বাসিন্দাদের একাংশ। কয়েক জন বাসিন্দা ভ্রমণ সংস্থার দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। মিনিট পনেরো পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দুর্গাপুর থানার পুলিশ। উপযুক্ত তদন্তের আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। ভ্রমণ সংস্থার কর্তাদের ফোন করা হলেও যোগাযোগ করা যায়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন