খনিতে ধোঁয়া, আতঙ্ক কেন্দায়

এই ঘটনার পরেই ফের ঘটনার জন্য ইসিএলের দিকে আঙুল তুলেছে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনগুলি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জামুড়িয়া শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০১৭ ০২:২৫
Share:

বিপত্তি: ধোঁয়ায় ঢেকেছে আকাশ। কেন্দায় বুধবার ভোরে। ছবি: ওমপ্রকাশ সিংহ

ফের আগুন ও ধোঁয়া বের হচ্ছে ইসিএলের কেন্দা এরিয়ার নিউকেন্দা কোলিয়ারির বন্ধ তিন নম্বর খনি মুখ থেকে। বুধবার এই ঘটনার পরে ফের এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন বাসিন্দারা। সেই সঙ্গে এলাকার পুনর্বাসনের জন্যও সরব হন বাসিন্দাদের একাংশ।

Advertisement

এলাকার বাসিন্দা রাজেশ চৌবে, সন্দীপ চক্রবর্তীরা জানান, এ দিন ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ কয়েক জন প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন। সেই সময়েই খনি থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। সঙ্গে আগুনও বের হয়। এই ঘটনার পরে দুপুর ১২টা নাগাদ ঘটনাস্থলে আসেন ইসিএলের কর্তারা। সংস্থার নিরাপত্তা আধিকারিক লক্ষ্মীপদ ঘোষ বলেন, ‘‘ঘটনাস্থলে গিয়ে বাসিন্দাদের কাছে ধসপ্রবণ এলাকায় না যাওয়ার জন্য মাইকে করে প্রচার চালানো হয়। ধোঁয়া ও আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এলাকাটি ঘিরেও ফেলা হয়েছে।’’

এই ঘটনার পরেই ফের ঘটনার জন্য ইসিএলের দিকে আঙুল তুলেছে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনগুলি। সিটু নেতা মনোজ দত্ত ও আইএনটিইউসি দেবাশিস রায়চৌধুরীদের অভিযোগ, ‘‘ইসিএল ঠিক ভাবে ভরাট না করাতেই বারবার বিপত্তি ঘটছে।’’ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগে ২২ জুলাই ওই খনির পাশেই অন্য একটি পরিত্যক্ত খোলামুখ খনিতে আগুন ধরে। এ ছাড়া গত ২৩ অক্টোবর এ দিনের খনিটিতেই আগুন ধরেছিল।

Advertisement

এই ঘটনার পরে এলাকার নিরাপত্তা নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বাসিন্দাদের একাংশ। কারণ তিন নম্বর খনি মুখ থেকে মাত্র একশো মিটার দূরত্বে রয়েছে তিন নম্বর ধাওড়া-সহ বিস্তীর্ণ জনবসতি এলাকা। রয়েছে কেন্দা গ্রামও। কেন্দা গ্রাম রক্ষা কমিটির দাবি, দ্রুত পুনর্বাসন না দেওয়া হয়ে গ্রামের অস্তিত্বই বিপন্ন হয়ে পড়বে। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে আসানসোলে জেলাশাসকের দফতরে বৈঠকও হয়েছে বলে জানান কমিটির নেতা বিজু বন্দ্যোপাধ্যায়।

যদিও এই ধরনের বিপত্তির কারণ হিসেবে ইসিএলের দাবি, অবৈধ খননে লাগাম না টানা যাওয়াতেই এমনটা ঘটছে। পুনর্বাসন প্রসঙ্গে ইসিএল কর্তৃপক্ষ জানান, বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের সঙ্গে যৌথ ভাবে কাজ চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন