ছেলে-বৌমার বিরুদ্ধে জোর করে বসত বাড়ি ও জমি দখলের অভিযোগ করলেন এক বৃদ্ধা। মঙ্গলকোটের যজ্ঞেশ্বরডিহির ওই বৃদ্ধা, নমিতাবালা ঘোষের দাবি, তাঁর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করছেন ছেলে-বৌমা। আশ্রয়ের খোঁজে মহকুমাশাসকের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কৈচর ১ পঞ্চায়েতের যগেশ্বরডিহি গ্রামের ঘোষপাড়ায় প্রায় চল্লিশ বছর ধরে বাস করছেন বছর বাষট্টির নমিতাদেবী। কাঠা চারেক জায়গার উপর একতলা বাড়িতে ছেলে সমীর, বৌমা লক্ষ্মী ও দুই নাতিকে নিয়ে থাকেন তিনি। ওই বাড়িটিকে ঘিরেই গোলমালের সূত্রপাত বলে অভিযোগ। নমিতাদেবীর অভিযোগ, বাড়ি ছাড়াও কৈচর মৌজার বিঘা চারেক জমি তাঁর নামে রয়েছে। সেটাও হাতাতে চায় ছেলে। ওই বৃদ্ধা বলেন, ‘‘জায়গা জমি এখনই ওর নামে লিখে দিতে হবে বলে বৌমা লাঠি দিয়ে মারধর করে। ছেলেও মারধর করে। খেতেও দেয় না।’’ এমনকি, দিন দশেক আগে বৌমা বঁটি দিয়ে মেরেছিল বলেও তাঁর দাবি। নমিতাদেবীর এক আত্মীয়, কাটোয়ার চৈতন্যপুরের বাসিন্দা তনিমা ঘোষ জানান, বছর কুড়ি আগে নমিতাদেবীর স্বামী মারা যান। তারপর বড় ছেলে ভবতারণের কাছেই উনি থাকতেন। বছর দুয়েক আগে বড়ছেলে মাঝেমধ্যে তাঁর বাড়িতেও গিয়ে থাকেন বলে তনিমাদেবীর দাবি।
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে দিনমজুর সমীরবাবু বলেন, ‘‘মায়ের সাথে গোলমাল হয়েছে। তর্কাতর্কি হয়েছে। তবে মারধর করিনি।’’ শীঘ্রই সমীরবাবুকে ডেকে বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন কাটোয়ার মহকুমাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি।