Bardhaman Medical Hospital

হাসপাতালে বৃদ্ধকে ফেলে রেখে ‘চম্পট’

হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অনাথ দাস নামে ওই বৃদ্ধের হাত-পা অসাড়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০২০ ০১:৪১
Share:

বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে বসে বৃদ্ধ। রবিবার সন্ধ্যায়। নিজস্ব চিত্র

বৃদ্ধ রোগগ্রস্ত বাবাকে হাসপাতাল চত্বরে ফেলে রেখে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। দিন দু’য়েক বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে অর্ধাহারে পড়ে রয়েছেন বছর সত্তরের বৃদ্ধ। রবিবার সন্ধ্যায় পুলিশ ক্যাম্প মারফত খবর পেয়ে বৃদ্ধকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

Advertisement

হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অনাথ দাস নামে ওই বৃদ্ধের হাত-পা অসাড়। হাঁটতে-চলতে পারেন না। তিনি রবিবার সন্ধ্যায় জানান, শুক্রবার তাঁকে গাড়িতে করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন ছেলে। তার পরে তাঁকে বহির্বিভাগের পাশে প্রতীক্ষালয়ে বসিয়ে রেখে বেপাত্তা হয়ে যান। অনাথবাবু দু’দিন সেখানেই বসে রয়েছেন। কেউ পাঁউরুটি বা কোনও শুকনো খাবার দিলে তবেই খেতে পাচ্ছেন। রবিবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, একটি নাইলনের ব্যাগ নিয়ে বসে রয়েছেন বৃদ্ধ। স্পষ্ট ভাবে কথা বলতে পারছেন না। জানা গেল, তাঁর বাড়ি পশ্চিম বর্ধমানের বেনাচিতির কোনও এলাকায়। ছেলের নাম রাহুল ওরফে বাবু। বাড়িতে ছেলে ছাড়াও স্ত্রী রয়েছেন।

হাসপাতালে আসা অনেকের দাবি, দু’দিন এক জায়গাতেই রয়েছেন বৃদ্ধ। শৌচাগারে যাওয়ার ক্ষমতাও তাঁর নেই। অন্য রোগীর পরিজনদের মারফত রবিবার বিষয়টি হাসপাতালের ক্যাম্পের পুলিশকর্মীদের কানে পৌঁছয়। এর পরে পুলিশ ক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার কল্লোল কবিরাজের উদ্যোগে বৃদ্ধকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এক রোগীর আত্মীয় শেখ মিরাজ বলেন, ‘‘ওই বৃদ্ধকে একই জায়গায় বসে থাকতে দেখেছি। দুপুরে তাঁকে ভাত খাওয়ার কথা বললেও তিনি খেতে চাননি। পাঁউরুটি, চিঁড়ে ভাজা দেওয়া হচ্ছিল ওঁকে।’’ অমিত ঘোষ নামে আর এক জন বলেন, ‘‘আমরা আশা করছিলাম, হয়তো ওঁর পরিবারের কেউ আসবেন। কিন্তু দু’দিন কেটে গেলেও কেউ না আসায় আমরা বিষয়টি পুলিশকে জানাই।’’

Advertisement

বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বৃদ্ধের চিকিৎসা শুরু হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, বিষয়টি পুলিশকে জানিয়ে বৃদ্ধের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন