খন্দে ভরা রাস্তা, মন্ত্রীর সামনে তোপ স্পিকারের

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রাস্তাটি পূর্ত দফতরের অধীনে। ঘটনাচক্রে রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী শাসক দলের বর্ধমান পর্যবেক্ষকও বটে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেমারি শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০২:৪৫
Share:

বেহাল: এ ভাবেই যাতায়াত মেমারি-জামালপুর রোডে। নিজস্ব চিত্র

রাস্তার গাড্ডায় লাফ দিতে দিতে পৌঁছল কনভয়, রাজ্যের বিধানসভার স্পিকার বিধান বন্দ্যোপাধ্যায়ের। অনুষ্ঠানে এসে রাস্তার খারাপ হাল নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করলেন। মঞ্চে তখন উপস্থিত রাজ্যের মন্ত্রীও। মঙ্গলবার বিকেলে মেমারির বাগিলা গ্রামের ঘটনা। যে রাস্তা নিয়ে তাঁর অভিযোগ, তা দুর্গাপুর এক্সপ্রেসের উপরে আঝাপুর মোড় থেকে শুরু হওয়া মেমারি-জামালপুর রোডের কয়েক কিলোমিটার এলাকা।

Advertisement

এ দিন গ্রামের একটি নবনির্মিত দুর্গা মন্দির ও গ্রামের ডাকঘরের উদ্বোধন করতে এসেছিলেন স্পিকার। অনুষ্ঠান মঞ্চেই তিনি বলেন, ‘‘রাস্তার হাল খুবই খারাপ দেখলাম। মন্ত্রীকে সক্রিয় ভাবে নজর রাখতে বলব। মন্ত্রী চাইলেই এটা করতে পারেন। মন্ত্রীর একটা খোঁচাই যথেষ্ট!”— এ কথা প্রকাশ্যে বলতেই মঞ্চে উপস্থিত মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ দৃশ্যতই অস্বস্তিতে পড়েন বলে দাবি উপস্থিত গ্রামবাসীদের একাংশের। তবে সন্ধ্যায় মন্ত্রী বলেন, ‘‘উনি আমাদের নজর দিতে বলেছেন। বিধায়াক, পঞ্চায়েত সমিতির কর্তাদের নিয়ে আলোচনা করেছি।”

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রাস্তাটি পূর্ত দফতরের অধীনে। ঘটনাচক্রে রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী শাসক দলের বর্ধমান পর্যবেক্ষকও বটে। এই ঘটনার কথা পূর্তমন্ত্রীকে জানাবেন কি না জিজ্ঞেস করা বলে স্বপনবাবু অবশ্য বলেন, ‘‘রাস্তাটা কার দেখি। তারপরে যথাযথ জায়গায় জানানো হবে।”

Advertisement

যদিও পূর্ত দফতর সূত্রে জানা যায়, মেমারি-জামালপুর রাজ্য সড়কের বর্ধমান অংশে প্রায় ৩১ কিলোমিটার চওড়া ও মজবুত করতে প্রায় ৮০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। ওই দফতরের কর্তাদের আশা, সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ করে উৎসবের পরেই কাজ শুরু হয়ে যাবে।

এ দিন স্পিকারের বক্তব্যের কথা চাউর হতেই রাস্তার হাল নিয়ে ফের সরব হয়েছেন যাত্রী থেকে বাসিন্দা, সকলেই। যাত্রীদের অভিযোগ, ওই রাস্তার বেশ কিছু এলাকায় সাইকেলে চড়ে যাতায়াতও বেশ কঠিন। অথচ এই রাস্তা দিয়ে ফি দিন জামালপুর, তারকেশ্বর-সহ নানা রুটের বাস চলে। চলে বালি, পাথর, সিমেন্টবোঝাই ট্রাক, ডাম্পার, যাত্রীবাহী ট্রেকারও। এলাকার প্রায় ২৫টি গ্রামের বাসিন্দাদের অনেকেরই দাবি, পালসিটে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ‘টোল’ ফাঁকি দিতে অনেক গাড়িই এই ‘বিকল্প পথ’ ব্যবহার করে। ভারী যান চলাচলের জেরে সংস্কার হওয়ার মাসখানেকের মধ্যে রাস্তা খন্দে ভরে বলে অভিযোগ। ওই রাস্তার যাত্রী অনিন্দ্য বসুরায়, সুশান্ত রায়চৌধুরীদের দাবি, “সাত-আট মাস আগে থেকে রাস্তা বেহাল হতে শুরু করেছে। গত তিন-চার মাস রাস্তা দিয়ে চলাচল করা দায়।’’ পরিবহণ কর্মীদের দাবি, রাস্তা বেহাল হওয়ায় প্রায়শই বাস ও অন্যান্য গাড়ির যন্ত্রাংশ খারাপ হচ্ছে।

স্পিকারের তোপ, মন্ত্রী আশ্বাস— সব শুনে রাস্তা সংস্কার হবে ভেবে খুশি বাসিন্দারা। তবে সেই সঙ্গে তাঁদের প্রশ্ন, ‘‘শীতের আগে তো রাস্তাটা সংস্কার হবে না। তত দিন কার ভরসায় চলাচল হবে।’’ যদিও পূর্ত দফতরের বর্ধমান ডিভিশনের (পূর্ব চক্র) অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়র সুজয় রায় প্রতিহার বলেন, “বড় প্রকল্প হলে ছোট ভাবে সংস্কারের কাজ করা যায় না। তবুও আমরা সরেজমিন দেখে আপাতত সংস্কার করা যায় কি না দেখছি।”

রাস্তার গাড্ডায় লাফ দিতে দিতে পৌঁছল কনভয়, রাজ্যের বিধানসভার স্পিকার বিধান বন্দ্যোপাধ্যায়ের। অনুষ্ঠানে এসে রাস্তার খারাপ হাল নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করলেন। মঞ্চে তখন উপস্থিত রাজ্যের মন্ত্রীও। মঙ্গলবার বিকেলে মেমারির বাগিলা গ্রামের ঘটনা। যে রাস্তা নিয়ে তাঁর অভিযোগ, তা দুর্গাপুর এক্সপ্রেসের উপরে আঝাপুর মোড় থেকে শুরু হওয়া মেমারি-জামালপুর রোডের কয়েক কিলোমিটার এলাকা।

এ দিন গ্রামের একটি নবনির্মিত দুর্গা মন্দির ও গ্রামের ডাকঘরের উদ্বোধন করতে এসেছিলেন স্পিকার। অনুষ্ঠান মঞ্চেই তিনি বলেন, ‘‘রাস্তার হাল খুবই খারাপ দেখলাম। মন্ত্রীকে সক্রিয় ভাবে নজর রাখতে বলব। মন্ত্রী চাইলেই এটা করতে পারেন। মন্ত্রীর একটা খোঁচাই যথেষ্ট!”— এ কথা প্রকাশ্যে বলতেই মঞ্চে উপস্থিত মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ দৃশ্যতই অস্বস্তিতে পড়েন বলে দাবি উপস্থিত গ্রামবাসীদের একাংশের। তবে সন্ধ্যায় মন্ত্রী বলেন, ‘‘উনি আমাদের নজর দিতে বলেছেন। বিধায়াক, পঞ্চায়েত সমিতির কর্তাদের নিয়ে আলোচনা করেছি।”

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রাস্তাটি পূর্ত দফতরের অধীনে। ঘটনাচক্রে রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী শাসক দলের বর্ধমান পর্যবেক্ষকও বটে। এই ঘটনার কথা পূর্তমন্ত্রীকে জানাবেন কি না জিজ্ঞেস করা বলে স্বপনবাবু অবশ্য বলেন, ‘‘রাস্তাটা কার দেখি। তারপরে যথাযথ জায়গায় জানানো হবে।”

যদিও পূর্ত দফতর সূত্রে জানা যায়, মেমারি-জামালপুর রাজ্য সড়কের বর্ধমান অংশে প্রায় ৩১ কিলোমিটার চওড়া ও মজবুত করতে প্রায় ৮০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। ওই দফতরের কর্তাদের আশা, সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ করে উৎসবের পরেই কাজ শুরু হয়ে যাবে।

এ দিন স্পিকারের বক্তব্যের কথা চাউর হতেই রাস্তার হাল নিয়ে ফের সরব হয়েছেন যাত্রী থেকে বাসিন্দা, সকলেই। যাত্রীদের অভিযোগ, ওই রাস্তার বেশ কিছু এলাকায় সাইকেলে চড়ে যাতায়াতও বেশ কঠিন। অথচ এই রাস্তা দিয়ে ফি দিন জামালপুর, তারকেশ্বর-সহ নানা রুটের বাস চলে। চলে বালি, পাথর, সিমেন্টবোঝাই ট্রাক, ডাম্পার, যাত্রীবাহী ট্রেকারও। এলাকার প্রায় ২৫টি গ্রামের বাসিন্দাদের অনেকেরই দাবি, পালসিটে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ‘টোল’ ফাঁকি দিতে অনেক গাড়িই এই ‘বিকল্প পথ’ ব্যবহার করে। ভারী যান চলাচলের জেরে সংস্কার হওয়ার মাসখানেকের মধ্যে রাস্তা খন্দে ভরে বলে অভিযোগ। ওই রাস্তার যাত্রী অনিন্দ্য বসুরায়, সুশান্ত রায়চৌধুরীদের দাবি, “সাত-আট মাস আগে থেকে রাস্তা বেহাল হতে শুরু করেছে। গত তিন-চার মাস রাস্তা দিয়ে চলাচল করা দায়।’’ পরিবহণ কর্মীদের দাবি, রাস্তা বেহাল হওয়ায় প্রায়শই বাস ও অন্যান্য গাড়ির যন্ত্রাংশ খারাপ হচ্ছে।

স্পিকারের তোপ, মন্ত্রী আশ্বাস— সব শুনে রাস্তা সংস্কার হবে ভেবে খুশি বাসিন্দারা। তবে সেই সঙ্গে তাঁদের প্রশ্ন, ‘‘শীতের আগে তো রাস্তাটা সংস্কার হবে না। তত দিন কার ভরসায় চলাচল হবে।’’ যদিও পূর্ত দফতরের বর্ধমান ডিভিশনের (পূর্ব চক্র) অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়র সুজয় রায় প্রতিহার বলেন, “বড় প্রকল্প হলে ছোট ভাবে সংস্কারের কাজ করা যায় না। তবুও আমরা সরেজমিন দেখে আপাতত সংস্কার করা যায় কি না দেখছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন