পুজো দেখতে বেরিয়ে ইভটিজিংয়ের শিকার হওয়া বা মত্ত অবস্থায় যুবকদের দৌরাত্ম্যের সামনে পড়ার অভিযোগ ওঠে প্রতি বছরই। এই ধরনের বিপদে সাহায্য করার জন্য নতুন অ্যাপ চালু করল পুলিশ। ‘পুলিশ সাথী’ নামে ওই অ্যাপের ‘প্যানিক’ বাটন টিপলেই উদ্ধার করবে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার পুলিশ লাইনে ওই অ্যাপের উদ্বোধন করেন আইজি (পশ্চিমাঞ্চল) রাজীব মিশ্র। ছিলেন আইজি (বর্ধমান রেঞ্জ) সুব্রত মিত্র, জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব। পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দ্রুত পরিষেবা দেওয়ার জন্য এই অ্যাপ খোলা হয়েছে। অ্যাপের বার্তা সরাসরি পাওয়ার জন্য একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সেখানকার কর্মীরা বার্তা পাওয়া মাত্র ব্যবস্থা নেবেন।’’
এ দিনই পুলিশ লাইনে ট্র্যাফিক পার্ক খুলল জেলা পুলিশ। পুলিশ সুপার জানান, বর্ধমান শহরের ট্র্যাফিক ব্যবস্থা কী রকম, তারই ছোট সংস্করণ ওই পার্ক। সেখানে শহরের ভিতর ও পাশে কী কী রাস্তা রয়েছে, তা দেখানো হয়েছে। রয়েছে কার্জন গেট থেকে বীরহাটা সেতুর কাছে ক্লক টাওয়ার পর্যন্ত। তার মধ্যেই ট্র্যাফিক ব্যবস্থা, কোথায় ট্র্যাফিক সিগন্যাল রয়েছে, কী ভাবে কাজ করছে তা তুলে ধরা হয়েছে। এ ছাড়া ট্র্যাফিক-সচেতনতার ব্যবস্থাও রয়েছে।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন বিকেল ৪টে থেকে ৬টা পর্যন্ত ওই পার্ক খোলা থাকবে। আইজি (পশ্চিমাঞ্চল)-র অনুরোধ, সপ্তাহে এক দিন স্কুলের পড়ুয়াদের নিয়ে এসে ট্র্যাফিক সম্বন্ধে সচেতন করা হোক। এ দিন তিনি বলেন, ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ প্রকল্প শুরু হওয়ার পরে প্রায় ২০ শতাংশ দুর্ঘটনা কমেছে। আহত ও মৃতের সংখ্যাও অনেকটা কমেছে। জেলা পুলিশের হাতেও ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণের আধুনিক যন্ত্র এসেছে।’’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) প্রিয়ব্রত রায় নতুন অ্যাপ উপস্থাপনার সময়ে বলেন, ‘‘ভুয়ো-বার্তা ঠেকাতে অ্যাপে নিবন্ধীকরণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।’’ এই অ্যাপ-বার্তায় সংশ্লিষ্ট ঘটনা সম্পর্কে জেলা পুলিশ যেমন অবহিত থাকবে, তেমনই সংশ্লিষ্ট থানা বা ফাঁড়ির পুলিশও ঘটনাটি দ্রুত জানতে পারবে। বয়স্ক মানুষজন পথে সমস্যায় পড়লে এই অ্যাপের মাধ্যমে সহায়তা পাবেন। পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘অ্যাপ-বার্তা ঠিক সময়ে এলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে পারবে।’’