বদলি প্রক্রিয়ার সমস্যা কাটাতে ডিপিএলে চিঠি

ডিপিএলের কোকআভেন প্ল্যান্ট বন্ধ হয়ে গিয়েছে ২০১৫ সালের জুনে। গত ১ জানুয়ারি থেকে ডিপিএলের মালিকানা চলে গিয়েছে রাজ্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমের হাতে। ডিপিএলের উদ্বৃত্ত কর্মী কমানোর উদ্যোগ শুরু হয়েছে তার পরেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ০২:১৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

ডিপিএলের বদলি হওয়া কর্মীদের অন্য দফতরে যোগ দেওয়া নিয়ে বিড়ম্বনা কাটানোর বিষয়ে উদ্যোগী হল পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন। ডিপিএল কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠিয়ে অবিলম্বে সমস্যার সুরাহা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

ডিপিএলের কোকআভেন প্ল্যান্ট বন্ধ হয়ে গিয়েছে ২০১৫ সালের জুনে। গত ১ জানুয়ারি থেকে ডিপিএলের মালিকানা চলে গিয়েছে রাজ্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমের হাতে। ডিপিএলের উদ্বৃত্ত কর্মী কমানোর উদ্যোগ শুরু হয়েছে তার পরেই। কোকআভেন প্ল্যান্টের কর্মী-আধিকারিকদের রাজ্য সরকারের অন্য দফতরে বদলি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। ২৬ নভেম্বর ৩১৪ জন কর্মীকে বদলি সংক্রান্ত নির্দেশিকা ধরানো হয়। কাউকে দুর্গাপুর পুরসভায়, কাউকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে, আবার কাউকে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে পাঠানো হয়। জেলাশাসকের দফতরেও বদলি করা হয় কয়েকজনকে। কিন্তু সব দফতর থেকেই তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

ওই কর্মীরা অভিযোগ করেন, ডিপিএল তাঁদের বদলির নির্দেশিকা ধরিয়েছে। কিন্তু যে দফতরে যোগ দিতে বলা হয়েছে, সেই সংশ্লিষ্ট দফতরে কোনও খবর দেওয়া হয়নি। ফলে, যেখানেই তাঁরা গিয়েছেন, ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অহেতুক হয়রানি ও অনিশ্চিত পরিস্থিতির জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। বাধ্য হয়ে ডিপিএল কর্তৃপক্ষ তাঁদের ডিপিএলেই প্রতিদিন হাজিরা দিতে বলেন। ডিপিএলের আইএনটিইউসি নেতা উমাপদ দাস বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন ধরে কোকআভেন প্ল্যান্টে কাজ করার পরে, বর্তমান পরিস্থিতিতে ওই কর্মীরা অসহায় বোধ করছেন।’’

Advertisement

এ ভাবে ডিপিএলের কর্মীরা যোগ দিতে চলে যাওয়ায় সংশ্লিষ্ট দফতরগুলিও সংশয়ে পড়ে যায়। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে দফতরগুলি। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ডিপিএল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেই চিঠিতে নতুন করে ওই কর্মীদের সংশ্লিষ্ট দফতরগুলিতে পাঠানোর আগে যাতে পদ্ধতিগত প্রক্রিয়া যথাযথ ভাবে সম্পন্ন করা হয়, সেই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

ডিপিএল কর্তৃপক্ষের অবশ্য দাবি, সংস্থা পুনর্গঠনের প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তাই যোগাযোগের অভাবে এমনটা হয়ে থাকতে পারে। তাঁদের আশ্বাস, সমস্যা মেটাতে ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ শুরু হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন