খাজুরডিহি

চুরি গিয়েছে সৌরবাতির ব্যাটারি, পথ অন্ধকারেই

রাস্তায় কিছু দূর অন্তর লাগানো রয়েছে সৌরবাতি। কিন্তু তার প্রায় কোনওটাই জ্বলে না সন্ধ্যার পরে। অন্ধকার রাস্তায় চলতে গিয়ে প্রায়ই হোঁচট খেতে হয় কাটোয়া ১ ব্লকের খাজুরডিহি পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দাদের। তাঁদের অভিযোগ, বারবার অভিযোগ জানানো হলেও প্রশাসনের তরফে সেগুলি মেরামতের কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাটোয়া শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০১৬ ০০:০৩
Share:

এই বাতিগুলিই জ্বলে না। নিজস্ব চিত্র।

রাস্তায় কিছু দূর অন্তর লাগানো রয়েছে সৌরবাতি। কিন্তু তার প্রায় কোনওটাই জ্বলে না সন্ধ্যার পরে। অন্ধকার রাস্তায় চলতে গিয়ে প্রায়ই হোঁচট খেতে হয় কাটোয়া ১ ব্লকের খাজুরডিহি পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দাদের। তাঁদের অভিযোগ, বারবার অভিযোগ জানানো হলেও প্রশাসনের তরফে সেগুলি মেরামতের কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

Advertisement

পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪-১৫ আর্থিক বর্ষে আইএসজিপি প্রকল্পে খাজুরডিহি পঞ্চায়েতের ১৯টি সংসদে সৌর আলো লাগানোর জন্য প্রায় ১৭লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়। একটি বেসরকারি সংস্থা ১১৭টি সৌর আলো লাগানোর বরাত পায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মাসখানেক যেতে না যেতেই আলোগুলি খারাপ হতে শুরু করে। প্রশাসনের নজরদারির অভাবে সৌর আলোগুলির ব্যাটারি-সহ বিভিন্ন অংশ চুরিও হয়ে যেতে থাকে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।

কাটোয়ার একটি দোকানে কাজ করেন প্রশান্ত ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, প্রথম এক মাস মতো আলোগুলি জ্বলতে দেখা যেত। তার পরে সেগুলি বিকল হতে শুরু করে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সন্ধ্যের পর থেকেই অন্ধকারে ঢেকে যায় খাজুরডিহি পঞ্চায়েতের নতুনগ্রাম, একাইহাট, পাঁচঘড়ার বিভিন্ন এলাকা। পায়ে হেঁটে হোক বা সাইকেলে— ছোটঘাট দুর্ঘটনার মুখে প্রায়ই পড়তে হচ্ছে তাঁদের। তার উপর চুরি, ছিনতাই তো লেগেই রয়েছে। নতুনগ্রামের বাসিন্দা পেশায় খেতমজুর বৃন্দাবন পাল জানান, বর্ষা শুরু হতেই রাস্তাগুলি খন্দে ভরে গিয়েছে। তার উপরে অন্ধকার। রাতে কাটোয়া থেকে ফিরতে গিয়ে মাঝেমাঝেই দুর্ঘটনায় পড়তে হচ্ছে। কাটোয়া থেকে টিউশন পড়ে রোজই রাত ৮টা নাগাদ বাড়ি ফিরতে হয় একাইহাটের বাসিন্দা কলেজপড়ুয়া বিথি মান্নাকে। তাঁর মা মৌসুমী মান্নার জানান, রাস্তায় আলো না থাকায় দুর্ঘটনার সঙ্গে চোরের উপদ্রব নিয়েও চিন্তায় থাকতে হয় বাড়ির সবাইকে।

Advertisement

স্থানীয় গ্রামবাসীর অভিযোগ মেনে নিয়েছেন পঞ্চায়েতের ৪ নম্বর সংসদ চায়না বিবি। তিনি বলেন, ‘‘কিছু জায়গায় সমস্যা রয়েছে। বেশ কিছু ব্যাটারি চুরি হয়ে গিয়েছে। এটা পঞ্চায়েতের ব্যর্থতা।’’ পঞ্চায়েত প্রধান পুষ্প চৌধুরীর দাবি, ‘‘ব্যাটারি সারানোর মিস্ত্রী পাওয়া যাচ্ছে না।’’ তবে শীঘ্রই ঠিকাদার সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করে আলোগুলো সারানোর ব্যবস্থা করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন