তারিখ পার, ফর্ম পূরণের দাবিতে বিক্ষোভ পড়ুয়াদের

নির্দিষ্ট তারিখ পার হয়ে যাওয়ার পরেও পরীক্ষায় বসার ফর্ম পূরণ করতে দেওয়ার দাবিতে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক দফতরে বিক্ষোভ দেখালেন শ’দেড়েক পড়ুয়া। মঙ্গলবার জেলার বিভিন্ন কলেজ তো বটেই ভিন জেলার বহু কলেজের পড়ুয়ারাও বিক্ষোভে সামিল হন। বিক্ষোভ চলাকালীন তাঁরা বারবার পরীক্ষা নিয়ামকের ঘরে ধাক্কা মারেন বলেও অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০১৫ ০০:৪৬
Share:

পরীক্ষা নিয়ামকের দফতরের বাইরে চলছে বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র।

নির্দিষ্ট তারিখ পার হয়ে যাওয়ার পরেও পরীক্ষায় বসার ফর্ম পূরণ করতে দেওয়ার দাবিতে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক দফতরে বিক্ষোভ দেখালেন শ’দেড়েক পড়ুয়া। মঙ্গলবার জেলার বিভিন্ন কলেজ তো বটেই ভিন জেলার বহু কলেজের পড়ুয়ারাও বিক্ষোভে সামিল হন। বিক্ষোভ চলাকালীন তাঁরা বারবার পরীক্ষা নিয়ামকের ঘরে ধাক্কা মারেন বলেও অভিযোগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবর দেন। পুলিশ আসার পরেই অবশ্য পরীক্ষা নিয়ামকের দফতরের সামনে থেকে সরে যান পড়ুয়ারা।

Advertisement

আসানসোলের বিবি কলেজে, গুসকরা কলেজ, হুগলির ভদ্রেশ্বরের সুকান্ত কলেজ, বলাগড়ের বিনয়কৃষ্ণ মহাবিদ্যালয়, বীরভূমের রামপুরহাট কলেজ, বাঁকুড়া খ্রিস্টান কলেজ-সহ বহু কলেজের পড়ুয়ারাই এ দিন সকালে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক দফতর রাজবাটিতে হাজির হয়ে যান। তাঁদের দাবি, পড়ুয়াদের একটা বড় অংশ অসুস্থতা কিংবা যোগাযোগের অভাবে প্রথম বর্ষের ফর্ম পূরণের তারিখ জানতে পারেননি। সে জন্য ফর্ম পূরণের জন্য আর একটি তারিখ দেওয়ার দাবি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে আবেদন করতে এসেছেন তাঁরা। রামপুরহাট কলেজের বাদশা আলম চৌধুরী, আসানসোল বিবি কলেজের বাসিট আলি, গুসকরা কলেজের বিনুরাই দাস, বাঁকুড়া খ্রিস্টান কলেজের বিনুরাই দাসদের অভিযোগ, “গত বৃহস্পতিবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরছি। একবার এই দফতরে তো আর একবার ওই দফতরে যেতে বলছে। আমরা ফর্ম পূরণ করার সুযোগ পাব কি পাব না, সেটা আমাদের কেউ জানাচ্ছেন না। ফলে আমাদের হয়রানি বাড়ছে।”

এ দিন বিকালে পরীক্ষা নিয়ামকের দফতরের সামনে গিয়ে দেখা যায়, গেটে তালা ঝুলছে। পরীক্ষা নিয়ামকের সঙ্গে দেখা করার জন্য বারবার গেট খোলার জন্য বলা হলেও গেট খুলতে কেউ এগিয়ে আসেননি। পরে পরীক্ষা নিয়ামক দীপক সোমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ‘নো কমেন্টস’ বলে ফোনটি রেখে দেন। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩০ মে থেকে ৫ জুন পর্যন্ত সাধারণ ভাবে ফর্ম পূরণ করার তারিখ ছিল। তারপরে আরও দু’দিন ‘লেট ফাইন’ দিয়ে ফর্ম পূরণের সুযোগ ছিল পড়ুয়াদের। সেখানেও অনেক পড়ুয়া নানা কারণে ফর্ম পূরণ করতে পারেনি বলে বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য বিশেষ ভাবে ১১ জুনও ফর্ম পূরণের জন্য তারিখ নির্ধারিত করেন। তারপরেও ফর্মপূরণ বাকি থেকে গিয়েছএ ওই পড়ুয়াদের। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার রজত ভট্টাচার্য বলেন, “আর ৬ দিন পরে পড়ুয়াদের হাতে অ্যাডমিট কার্ড পৌঁছে দিতে হবে। ২৫ জুন থেকে প্রথম বর্ষের পরীক্ষা। পড়ুয়াদের প্রতি সহানুভূতি রেখেই বলছি, এই অবস্থায় নতুন করে ফর্ম পূরণের তারিখ দেওয়া কী আর সম্ভব?”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন