চিনি ছাড়া চিত্রকূটে সাজবে ভাইয়ের থালা

ভাইয়ের কপালে ফোঁটা, সামনে সাজানো রকমারি মিষ্টি। ভাইফোঁটার বিজ্ঞাপনে ছবিটা চেনা হলেও বাস্তবটা নয়। কেউ ডায়েটের চক্করে, কেউ শরীরের নানা সমস্যায় মিষ্টির স্বাদ থেকে বঞ্চিত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কালনা শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০১৬ ০০:৩৮
Share:

সুগার ফ্রি আমরোল ও সবুজ আম সন্দেশ। নিজস্ব চিত্র।

ভাইয়ের কপালে ফোঁটা, সামনে সাজানো রকমারি মিষ্টি। ভাইফোঁটার বিজ্ঞাপনে ছবিটা চেনা হলেও বাস্তবটা নয়। কেউ ডায়েটের চক্করে, কেউ শরীরের নানা সমস্যায় মিষ্টির স্বাদ থেকে বঞ্চিত। কালনায় এ বার তাঁদের কথা ভেবে তৈরি হচ্ছে চিনি ছাড়া বাহারি সন্দেশ।

Advertisement

চেনা সুগার ফ্রি বা নরম পাকের ছানার চিত্তরঞ্জন সন্দেশের বাইরে গিয়ে চিনি ছাড়া চিত্রকূট, কাঁচাগোল্লা, আমরোল, মিল্ক সন্দেশ তৈরি হচ্ছে ভাঁইফোটার আগে। কালনার বৈদ্যপুর মোড়ের কাছে একটি মিষ্টির দোকনদারের দাবি, উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের কথা ভেবে চিনি ছাড়া ৪-৫ রকমের সন্দেশ তৈরি করেছেন তাঁরা। সোমবার সকাল থেকেই মিষ্টির অধিকাংশ বিকিয়ে গিয়েছে বলেও তাঁদের দাবি।

প্রতিবারই ভাইফোঁটার সপ্তাহ দুয়েক আগে থেকে মিষ্টি নিয়ে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালান ব্যবসায়ীরা। কালীপুজোর পরে শীতের আমেজ পড়ে যাওয়ায় মিষ্টি বানিয়ে রাখাও অনেকটা সহজ হয়। এ বারেও কালনা শহর ও আশপাশের মিষ্টি দোকানগুলি নেমে পড়েছে ভাইফোঁটার বাজার ধরতে। সুগার ফ্রি ছাড়াও প্রায় ৮০ রকমের বাহারি মিষ্টি ভাইফোঁটার বাজার মাতাবে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। ছানার দাম আকাশছোঁয়া হলেও মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখে মিষ্টির দাম রাখা হয়েছে বলেও তাঁদের দাবি।

Advertisement

এ দিন সকাল থেকে শহরের নানা মিষ্টির দোকান ঘুরে দেখা যায়, লম্বা লিস্ট ঝুলছে। ভাইফোঁটা উপলক্ষে গত দশদিন ধরে শহরের চকবাজার এলাকার একটি মিষ্টির দোকান প্রায় ২৫ হাজার কেজি মাখা সন্দেশ থেকে তৈরি করেছে। এ ছাড়াও তাদের দোকানে রয়েছে দুধ-ক্ষীর, ফল, আমসত্ত্ব দেওয়া মিষ্টি। রয়েছে ক্যাডবেরি বল, রসরাজ, কস্তুরিবল, আবার খাব, সাগরিকা, পটল সন্দেশ, গোলাপ জাম, পেঁপের লাড্ডু, কোলাপুরি, কামরাঙা, গাজর লর্ড, কাশ্মীরি কালাকাঁদ, ক্রিম চপের মতো মিষ্টিও। এ ছাড়া রসগোল্লা, পান্তুয়ার মতো চেনা মিষ্টি তো রয়েইছে। দোকানের মালিক রণজিৎ মোদক বলেন, ‘‘মেশিনে, হাতে দু’ভাবে অজস্র মিষ্টি তৈরি করা হয়েছে। সাধারন খরিদ্দারদের কথা মাথায় রেখে ৬ থেকে ২০ টাকার মধ্যে রাখা হয়েছে দাম।’’ তাঁর দাবি, বেশির ভাগ পরিবারই এখন স্বাস্থ্য সচেতন। বেশি চিনির মিষ্টি তাদের পছন্দ নয়। এ বার প্রতিটি মিষ্টি তৈরির আগে এ ব্যাপারটাো মাথায় রাখা হয়েছে।

বৈদ্যপুরের একটা দোকান আবার ক্রেতাদের চোখ টানতে তৈরি করেছে রঙচঙে তবলা সন্দেশ। সঙ্গে আপেল, আম, লেবু, কাঁঠালের কোয়ার আদলেও বেশ কিছু মিষ্টি গড়া হয়েছে। দোকানের মালিক বিকাশ ঘোষ জানান, বেশির ভাগ ক্রেতাই আসেন আশপাশের গ্রাম থেকে। অনেক নিম্নবিত্ত পরিবারের মানুষও আসেন। তাঁদের কথা ভেবে ৩ থেকে ১০ টাকার মধ্যে বেশিরভাগ মিষ্টির দাম রাখা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন