চালকল নিয়ে চলা মামলায় স্থগিতাদেশ

চুক্তিপত্র অনুযায়ী চালকল মালিকদের সঙ্গে কোনও সমস্যা হলে সালিশির মাধ্যমে মীমাংসা করার কথা খাদ্য দফতরের। কিন্তু খাদ্য দফতর নিযুক্ত সংস্থা সে পথে না হেঁটে সরাসরি চালকল মালিকদের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর করে। পাল্টা দাবি করে হাইকোর্টে আবেদন করেন এক চালকল মালিকও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০১৬ ০০:৩৭
Share:

চুক্তিপত্র অনুযায়ী চালকল মালিকদের সঙ্গে কোনও সমস্যা হলে সালিশির মাধ্যমে মীমাংসা করার কথা খাদ্য দফতরের। কিন্তু খাদ্য দফতর নিযুক্ত সংস্থা সে পথে না হেঁটে সরাসরি চালকল মালিকদের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর করে। পাল্টা দাবি করে হাইকোর্টে আবেদন করেন এক চালকল মালিকও। তাঁর দাবি, খাদ্য দফতরের নিযুক্ত কোনও সংস্থা চুক্তিপত্র অনুযায়ী এফআইআর করতে পারে না। গত ২৮ নভেম্বর বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ওই এফআইআরের উপর স্থগিতাদের জারি করে নির্দেশ দিয়েছেন, এ ব্যাপারে আর এগোতে পারবেন না অভিযোগকারী সংস্থা।

Advertisement

অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী, বর্ধমান বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সদন তা বলেন, “অভিযোকারীর নির্বুদ্ধিতার জন্যই বিচারপতি মামলার উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছেন। এ বার অভিযুক্ত চালকল মালিকেরা এই নির্দেশের সুবিধা নেবেন। আখেরে সরকারের প্রচুর টাকা লোকসানের মুখে পড়ল।”

নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও বর্ধমান জেলায় ১১টি চালকল থেকে ৭৬১৫ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করতে পারেনি খাদ্য দফতর। ওই দফতরের কর্তাদের দাবি, বারবার বলার পরেও চাল দেওয়া তো দূর, কোনও কোনও মালিক সহায়ক মূল্যে কেনা ধান থেকে চাল তৈরি করে খোলা বাজারে বিক্রি করে রাজ্য থেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন। সেই খবর জানার পর খাদ্যমন্ত্রী বিবৃতি দিয়ে ওই সব চালকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন। এর পরেই পুলিশ এক দিনে অভিযুক্ত চালকলে হানা দিয়ে পাঁচ মালিক ও পনেরো জন কর্মীকে গ্রেফতার করে। এ বছরের মার্চ-এপ্রিলে পশ্চিমবঙ্গ অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিগম সহায়ক মূল্যে সমবায় ও কৃষক বাজার মারফত চাষিদের কাছ থেকে ধান কেনে। নিয়মমতো ধান দেওয়ার ২১ দিনের মধ্যে প্রতিটি চালকলকে সরকারের কাছে চাল দিতে হয়। কিন্তু তা হয়নি বলে দাবি ওই সংস্থার।

Advertisement

অভিযুক্তদের মধ্যে মেমারির বড়পলাশনের একটি চালকলের মালিক টিতব মণ্ডল হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে অত্যাবশকীয় পণ্য নিগমের এফআইআর করার এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাঁর আইনজীবীদের দাবি, ওই চালকল ৯০২.৯৭৪ মেট্রিক টন ধান কিনেছিল। নিয়ম অনুযায়ী ৬১৪.২২ মেট্রিক টন ধান দেওয়ার কথা। সে জায়গাতে ৪৩২.৪২২ মেট্রিক টন ধান দিয়েছে ওই চালকল। সদনবাবু বলেন, “অভিযোগে জানানো হয়েছে বাকি ১৮১.৪২২ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যায়নি বলে সরকারের ৯০ লক্ষ টাকার উপর ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু আমার মক্কেলের নিরাপত্তা বাবদ ১০ লক্ষ ছাড়াও ধান ভাঙানোর খরচ সহ সরকারের কাছে কয়েক লক্ষ টাকা পাওনা রয়েছে। সে ব্যাপারে চুক্তি অনুযায়ী না এগোনোয় সরকারের মুখ পুড়ল।” খাদ্য দফতরের বর্ধমান জেলার নিয়ামক দেবমাল্য বসু যদিও বলেন, “আমার কাছে এ ব্যাপারে কোনও খবর নেই।” জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ ইসমাইল বলেন, “সোমবার সহায়ক মূল্যে ধান কেনা নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানেই বিষয়টি জানতে পারব।”

গলসিতে আলোচনা। পানাগড় ইউনাইটেড ট্রাক ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে বিশেষ সেমিনার হয়ে গেল পানাগড়ে। ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ ও মিশন নির্মল বাংলার প্রচারের জন্য সেমিনারটির আয়োজন করা হয়েছিল। ট্রাকের চালক, খালাসি ও মালিকদের নিয়ে মিছিল হয়। মোটরবাইকদের ক্ষেত্রে জুতো ও হেলমেট, গাড়ি চালানোর সময় সিটবেল্ট ব্যবহার করা ও মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি না চালানোর বিষয়ে সচেতন করা হয়। পাশাপাশি এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখার বিষয়েও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানানো হয় এই সেমিনারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন